নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ কীট দিয়ে করোনা টেস্টের ভয়ংকর জালিয়াতি।

৩৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন দিশেহারা ঠিক তখনই ঘটলো আরেক ভয়ঙ্কর করোনার কিট কেলেঙ্কারির ঘটনা।প্রাতিষ্ঠানিক নাম ব্যবহার করে ৩ টি জালিয়াত চক্রের সরবরাহ করা নকল ও মানহীন কিট দিয়ে ইতোমধ্যেই দেশে অগণিত করোনা ভাইরাস সনাক্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

র‌্যাবের কাছে আসা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ অভিযানে নামে র‌্যাব-২। আজ শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, বনানী ও মোহাম্মদপুরের ৩টি প্রতিষ্ঠানে রাতভর অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-২। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল, হাইটেক হেলথ কেয়ার ও এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। এসময় প্রতিষ্ঠান গুলোর স্বত্বাধিকারী সহ ১৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় জব্দ করেছে ৪ ট্রাক অননুমোদিত মেডিকেল পণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার টেস্টিং কিট এবং রি-এজেন্টের মোড়কে নতুন করে মেয়াদ বসানো পণ্য।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে গ্রেপ্তারকৃততের জিজ্ঞাসাবাদ ও জব্দকৃত নথী পর্যালোচনা করে অসংখ্য চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যাচ্ছে। এই ৩ জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে ইতোমধ্যে একাধিক সরকারি ও বেসরকরি প্রতিষ্ঠান কিট সংগ্রহ করে মানুষের করোনা টেস্ট করেছে। তবে, ওই কিটগুলো তারা জেনে নিয়েছে নাকি না জেনে নিয়ে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কতো মানুষ এর নকল টেস্ট কিটের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। দেশে কতোগুলো হাসপাতালে এবং কি পরিমাণে নকল ও মানহীন কিট সরবরাহ করা হয়েছে তার উত্তর খুঁজতে গভীর অনুসন্ধানে নেমেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ইন্টেলিজেন্স টিম।

উল্লেখ্য, গত বছরও করোনা টেস্ট সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো: শাহেদ করিম এবং জেকেজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনা এবং তার স্বামী ডাঃ আরিফ। তারা ভুয়া টেস্ট সহ অসংখ্য কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ছিলেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.