মোঃ সাইফুল ইসলাম, ডেস্ক রিপোর্ট
সদ্য ভূমিষ্ট নেয়া নবজাতক সন্তান এখনো পিতৃ পরিচয়হীন।
গতো ০৬/০৪/২০২১ মঙ্গলবার ১৭নং ভবানীগন্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হাশিম মাঝি বাড়িতে বিকাল ৫ টার দিকে পৃথিবীর আলো আলোকিত করে ফাতেমা আক্তার শিরীনার কোল জুড়ে আসে নবজাতক সন্তানটি।
সমাজের স্বীকৃতি ও বাবার পরিচয় না পাওয়ার কারন মেয়েটি বিবাহিত ছিলো না।
ফাতেমা আক্তার শিরীনা এতোদিন অসুস্থ আর নিরব ভূমিকাই পালন করেছিলো।
কার সাথে প্রেমের প্রনয়ের ফসল ছিলো ধোঁয়াশাই রেখেছিলো সবাইকে।
কেনো, কি কারনে এমন নিরবতা ফাতেমা আক্তার শিরীনার?
কাশেম মাঝি, ফাতেমা আক্তার শিরীনার বাবা।
বার্ধক্য জনিত কারনে দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন।
নিজ মেয়ের কর্মকান্ড ও পরিস্থিতিতে ০৯/০৪/২০২১ স্টোক করে চলে যান পরপারে।
বাবার মৃত্যুর পরই নিরবতা ভেঙে নিজের নবজাতক সন্তানের পিতার নাম তুলে ধরেন মনির হোসেন দুলাল দফাদারের ছেলে সালাউদ্দিন এর।
কিন্তু সালাউদ্দিনের ভাষ্য মতে সে এই অনাগত সন্তানের বাবা নন। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে দোষী সাবস্হ্য হলে যেকোনো বিচার মাথা পেতে নেবে।
এহেন পরিস্থিতিতে ১০/০৪/২০২১ তারিখে ফাতেমা আক্তার শিরীনাকে ধর্ষন ও নবজাতক সন্তানকে হত্যা চেষ্টা মামলা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন এখন শ্রীঘরে।
মামলার এজাহারে জানা যায় হাশিম মাঝি বাড়ির ফাতেমা আক্তার শিরীনা ও সালাউদ্দিনের বোন রানু বেগমের ঘর পাশাপাশি। বোনের বাড়িতে বেড়ানোর সুযোগেই একদিন সুযোগ বুঝে ধর্ষন করে ফাতেমা আক্তার শিরীনাকে।
শিরীনা সালাউদ্দিনের বোনকে বিষয়টি অবগত করে কিন্তু সালাউদ্দিনের বোন রানু বেগম বিষয়টি চাপিয়ে রেখে কাউকে না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এরই মধ্যে শিরীনা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। একসময় গর্ভে ধারনকৃত বাচ্চা বড়ো হয়ে যায়। যা এব্রোরোশন করারও সীমা পেরিয়ে যায়।
গতো ০৬/০৪/২০২১ বিকাল ৫ টার সময় যখন বাচ্চা হয়।
নবজাতক বাচ্চাকে বাথরুমের কমোডের ভিতর ফেলে হত্যা চেষ্টা করে রানু বেগম। কিন্তু নবজাতক শিশু কান্না করলে আশেপাশের মানুষজন জানতে পারে ফাতেমা আক্তার শিরীনার বাচ্চা হওয়ার কথা এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায় রানু বেগম।
ফাতেমা আক্তার শিরীনা তার সাথে ঘটে যাওয়া নির্মম পরিস্থিতির বিচার চান।
নবজাতক সন্তানের নাম আরিয়ান রেখে তার পিতৃত্বের আইনী লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন ফাতেমা আক্তার শিরীনা।
আর সালাউদ্দিনও নিজের আস্হাবলে অস্বীকার করছেন আরিয়ানের বাবা হতে।
আইনী লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আরিয়ানকে। কে তার বাবা?
সমাজও ততোদিন জানতে পারবেনা কে আরিয়ানের আসল জন্মদাতা পিতা।
পিতৃস্নেহ না পিতহীন সমাজে বেড়ে উঠবে আরিয়ান তা আইনী সিদ্ধান্তের পরই জানা যাবে আরিয়ানের আগামীর ভবিষ্যত।