ধর্ষন ও হত্যার ২০ দিনেও অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে।

১৪

 

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ড জোড়খালি গ্রামের প্রয়াত নাছির উদ্দীন ডাক্তার এর ছোট মেয়ে আমেনা। ছেঙ্গারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আমেনা। প্রতিদিনের মত ০১/০৪/২০২১ তারিখে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। যথারীতি দিনের ১২ টায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসার কথা। আমেনার আসতে বিলম্ব দেখে পরিবারের পক্ষে তালাশ শুরু করে সন্ধানে না পেয়ে সন্দেহভাজন সড়কে ওৎ পেতে থাকা হায়নাদের খোঁজ নিয়ে দেখেন তারাও বাড়িতে নেই। একই গ্রামের মরহুম মিয়ার হোসেন এর পুত্র রিয়াসাদ আব্দুল্লাহ এবং সাইফুল বেপারীর পুত্র শহীদ আলমকে অনেকবার চেষ্টারপর কৌশল অবলম্বন করে দিনের ২টা ৩০ মিনিটে শহীদ আলম আমেনার ভাই মাহফুজের বন্ধু ইমরানকে নিশ্চিত করেন আমেনা তাদের সাথে আছেন তবে নারায়নগঞ্জে, দুপুরে ভাত খেয়েছে একসাথে। দিনের ৪টা ৩০ মিনিটে মাহফুলের সাথে শহীদ আলম থেকে মুঠোফোনে জানা যায় আমেনা তাদের কাছে নেই এবং আমেনা খুঁজে নেয়ার প্রস্তাব দেয় শহীদ আলম মাহফুজকে।

দিনের ৫টা ৩০ মিনিটে সিদ্ধিরগঞ্জ রসুলবাগের আলী আকবর সড়ক থেকে আমেনার ঘরের নম্বরে ফোন দিয়ে জানান আকাশ নামে কেউ জানান সড়কের পাশে পড়ে আছে একটি মেয়ের নিথর দেহ। জৈনিক আকাশ সড়কে আমেনার রক্তাক্ত এলোমেলো নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন, সাথে স্কুল ব্যাগ দেখে ব্যাগটির মধ্যে এই মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করেন। আকাশ পরিবারের কথায় দ্রুত আমেনাকে নিয়ে যান চিটাগাং রোডের একটি হাসপাতালে সেখান থেকে মাহফুজ তার বোনকে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(ঢামেক) এ, কর্তব্যরত চিকিৎসক আমেনাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে চিকিৎসকদের মতে জানা যায় আমেনা অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষন করে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে পথের মোড়ে হায়নার দল।

০২/০৪/২০২১ তারিখ সকাল ৯ ঘটিকায় নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয় আমেনার। পরিবার ও গ্রামবাসীর সমন্বয়ে মতলব উত্তর থানায় আমেনা হত্যার বিচারের জন্য মামলা করতে চাইলে দ্বায়িত্বরত অফিসার পরামর্শ দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করার। ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি মামলা অপরাধীরাও ধরা ছোয়ার বাইরে। পরিবারে তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে ছোট আমেনার বিদায়ে নেমে এসেছে র্সব্ত মহলে শোকের ছায়া।

এদিকে কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে আমেনার মায়ের চোখ, তবুও থামছেনা জননীর কান্না। কেউ শুনছেন কি শোনার মত, কেউ অনুভব করেছেন কি? কিভাবে ঝড়ে গেলো মানুষরুপী হায়নার থাবায় একটি ফুটন্ত তাজা গোলাপ।
এলাকাবাসীর দাবি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কিন্তু এখনো অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, আইনের এ ধীর গতির কারন কি জানা নেই তবে অনুরোধ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.