মো: মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্ট :দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে পাঁচ সন্তানের মা মোসা: মুক্তা বেগম তিনদিন ধরে অবস্থান নিয়েছেন প্রেমিকের বাড়িতে।
বুধবার ১৯ মে বিকালে মোসা: মুক্তা বেগম (৩৫) দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মৃধা বাড়িতে অবস্থান নেয় বিয়ের দাবিতে। কিন্তু অবস্থান নেয়া মুক্তা বেগম বৃহস্পতিবার ২০ মে থেকে নিখোঁজ আছেন।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে জানা যায়,
মুক্তা বেগমের স্বামী কাজের তাগিদে চট্রগ্রাম থাকে। এবং পাঁচ সন্তানের মা মুক্তা বেগম উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে থাকে। মুক্তা বেগম গ্রামে থাকায় একই গ্রামের মো: ধলু উদ্দিন মৃধার ছেলে মো: রুবেল মৃধার সাথে অবৈধ পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পরে। মো: রুবেল মৃধা বর্তমানে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র তাদের এই অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক প্রায় তিন বছর পর্যন্ত ।
রুবেল ও মুক্তা বহরমপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজারে একটি রুম ভাড়া করে এই থাকতো।
এতে মুক্তা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন। রুবেলের অনুরোধে মুক্তা বেগম দুই মাসের ভ্রন নষ্ট করে।
মঙ্গলবার ১৮ মে রাতে মুক্তা বেগম বিয়ের দাবি নিয়ে রুবেল মৃধার বাড়িতে অবস্থান করে। মঙ্গলবার মুক্তা বেগম প্রেমিক রুবেলের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর বহরমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম রুবেল মৃধার পক্ষে মুক্তা বেগম এবং তার স্বামী ছবিরকে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে। এ ঘটনার পরের দিন বুধবার ১৯ মে সকালে মুক্তা বেগমের স্বামী ছবির রুবেলের বাড়িতে অবস্থান নেয়া তার স্ত্রীকে মারধর করে। মারধর করার পরেও মুক্তা বেগম প্রেমিক রুবেলর বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এ বিষয় স্থানীয়রা জানান,
ঐ রাতে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি তার সাথে কয়েকজনকে নিয়ে মুক্তাকে খোঁজ করেন। এরপর থেকে মুক্তা নিখোঁজ আছেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন মুক্তা তার বাবার বাড়িতে আছেন। এসব ঘটনার পরে রুবেল পলাতক আছেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জানান,
আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা, এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান,
এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি।