স্পোর্টস ডেস্কঃ
মাঠের আম্পায়ারদের কথা বাদ। কিন্তু টিভি ক্যামেরার সামনে বসে রিপ্লে দেখেও হরহামেশা ভুল দিয়ে যাচ্ছেন থার্ড আম্পায়াররা। গতকাল চট্টগ্রামে বিপিএল’র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচেও দেখা গেল আম্পায়ারের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) এবার ডিআরএসের সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবি। তবে এডিআরএস নামক বিকল্প ডিআরএসের ব্যবস্থা করেছে তারা। যেখানে সব সুবিধা না পেলেও কিছু জিনিস যাচাই করে দেখতে পারেন আম্পায়াররা। বল কোথায় পড়েছে কিংবা ইমপ্যাক্ট কোথায় তা যাচাই করতেই পারেন। কিন্তু তারপরও বারবার ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছেন আম্পায়াররা।
গতকালের ঘটনাটি কুমিল্লার ইনিংসের ১৪তম ওভারে। কুমিল্লার ক্যারিবীয় ব্যাটার চ্যাডউইক ওয়ালটন আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন জাকের আলী। বরিশালের পাকিস্তানি অফস্পিনার ইফতেখার আহমেদের করা বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন জাকের। মাঠের আম্পায়ার আঙুল তুললে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন তিনি। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায় বল পড়েছিল লেগ সাইডের বাইরে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে আউটের সিদ্ধান্ত দেন তৃতীয় আম্পায়ারও।
জাকের আলী অবশ্য এমন সিদ্ধান্ত দেখে হাসতে থাকেন। হাসতে হাসতেই মাঠ ছাড়েন। তবে টানা দুটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কুমিল্লা। এরপর আর সে চাপ থেকে বের হতে পারেনি দলটি। এর আগে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বরিশালের আরও একটি ম্যাচে এমন এক সিদ্ধান্তে মাঠেই প্রতিবাদ করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। সেদিন রেজাউর রহমান রাজার বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাইন মিস করলে বল লাগে প্যাডে। খালি চোখে মনে হচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে রয়েছে বল। মাঠের আম্পায়ার তাই আউট দেননি। তবে বোলার রাজা রিভিউ নেন। রিপ্লেতেও দেখা যাচ্ছিল লেগ স্টাম্প মিস করবে বল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার। তখন বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিজয়। যে কারণে পরে তাকে গুনতে হয়েছিল জরিমানা।