ঝালকাঠিতে লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা

২১

রিয়াজ খান,স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে চলছে করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ। দিনে দিনে বেড়ে চলছে সংক্রমণ ও করোনা জনিত মৃত্যু। এমতাবস্থায় সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে অদ্য সকাল ৬ঘটিকা থেকে আগামী ৭দিনের জন্য সারা দেশে লকডাউন। ঝালকাঠি তে জনসাধারণ এর মাঝে চরম অসচেতনতা লক্ষ্য করা গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ হাজার ও ৫ শিক্ষককে ১২হাজার টাকা জরিমানা করেন। ঝালকাঠিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মোকাবেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মোকাবেলায় ও সরকার নির্ধারিত ১৮দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলে ঝালকাঠির ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত বিন সাদেক জানান।

সোমবার সকাল থেকে বিধি নিষেধ না মানায় ভিশন শো-রুমকে ৫হাজার, এলজি শো-রুমকে ৫হাজার, মেসার্স শফিকুল ইসলামকে ২ হাজার, দেবনাথ বস্ত্রালয়কে ৩ হাজার, পুজা হার্ডওয়্যারকে ৩ হাজার জাড়িমানা করেন। এছাড়া শহরের মাছ বাজার, কাপুরিয়াপাট্টসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লকডাউন কার্যকরে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আরও জানান।

অন্যদিকে ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক না পড়ে উসকানিমূলক কথা বলায় , ক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তমপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যামাণ আদালতের বিচারক মো. মোক্তার হোসেন এ দন্ড করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ শওকত হোসেন।

একইদিন রাজাপুরে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত আভিযান চালিয়ে ৪ শিক্ষককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাইভেট পড়ানোর সংবাদ পেয়ে হাতেনাতে ধরে উপজেলার শিক্ষক মোঃ আঃ শুকুরকে ৫ হাজার, রোকেয়া খাতুনকে ১ হাজার, হাইলাকাঠি গ্রামের গৌতম দাসকে ১ হাজার ও মঠবাড়ি গ্রামের শিক্ষক মোঃ ফেরদাউসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্থাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের সময় শওকত হোসেন মুখে মাস্ক না পড়েই বাজারে ঘোড়াফেরা করছিলো। ভ্রাম্যামাণ আদালতের বিচারক তাকে মাস্ক পড়তে বলে সে আদালতের সাথে উসকানিমূলক কথা বলে। অন্যদিকে শিক্ষক মোঃ আঃ শুকুর ও শিক্ষক মোঃ ফেরদাউস একই ভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পরেছিল। উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকমো. মোক্তার হোসেন জানান।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.