মোঃ জহিরুল ইসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট :
একটি জাতির বর্ণাঢ্য উজ্জ্বল ইতিহাস,তাদের পূর্ব পুরুষদের মাহাত্ম্যমণ্ডিত পরিচয় এবং অতীতের মর্মন্তুদ সংগ্রামের বীরত্বপূর্ণ কাহিনির ইতিহাস বিশ্ব দরবারে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুপ্রেরণা জোগায়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সুনিপুণভাবে গড়ে তুলে একজন কলম যোদ্ধা। আর যে জাতির কলম যত বেশি শক্তিশালী,সে জাতি তত বেশি প্রতিষ্ঠিত ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে উন্নত।
বাঙালি স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ,ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী,শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক ও অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের বলিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ১৯৪৭ সালের পর পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের আশা-আকাংঙ্ক্ষা পুর্ণজ্জীবিত হয়।১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রক্ষার্থে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত পূর্ব বাংলাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত প্রতিটি সামাজিক ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান।
অদ্যবদি”সত্যের জয় সুনিশ্চিত” নীতিবাক্য আর “শিক্ষাই আলো” শ্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রধান শিক্ষানিকেতন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
জ্ঞানের বাতিঘর,এই কিংবদন্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স আজ ১০০ বৎসর।
“ইতিহাস ও স্থাপত্য বিদ্যার অগ্রগতি,
মূর্খ-শিক্ষিত সর্বজনকে মুগ্ধ করেছে তুমি,
শতবর্ষে আজ তোমারই মিম্বরে দাঁড়িয়ে আমি,
বিশ্ববাসীকে বলছি,তুমিই বাংলার কিংবদন্তী”।
সুন্দর, অনন্য একটি লেখা।