চাপের মুখে হেফাজত

১০

মেহেদী হাসান সজীব, ডেস্ক রিপোর্টঃ মোদি বিরোধী আন্দোলনের পর থেকে সংকট আর নানামুখী চাপ যেন পিছু ছাড়ছে না হেফাজত ইসলামের। একের পর এক চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে সংগঠনটিকে। ২০১৩ সালের পর থেকে ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা সংগঠনটি কঠিন এক চ্যালেঞ্জেই সময় পার করছে বর্তমানে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। আর এসব কারণেই আইনি লড়াই করাই সংগঠনটির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

মোদি বিরোধী হরতালকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগে সংগঠন টির নেতাকর্মীদের অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় নেতা হতে শুরু করে গ্রেফতার করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। এর মধ্যেই ঘটে গেল কিছুদিন আগে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড। এখানেই শেষ নয়, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হন বাবুনগরীসহ ৪৩ কেন্দ্রীয় নেতা। এদিকে মামলা-গ্রেপ্তারে সংগঠনটি নানামুখী চাপে আর করোনা পরিস্থিতির কারনে ও মাঠ পর্যায়ে জোড়ালো কোন প্রতিবাদ ও জানাতে পারছেন না।

হেফাজতের একটি অংশ এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতির জন্য সরকারের সাথে সমঝোতার পক্ষে অন্য দিকে অন্য বড় একটি অংশ বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নতজানু স্বীকার করতে রাজি না। কারন তারা মনে করে এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নতজানু হলে হেফাজতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এবং সংগঠনটি তাদের জনপ্রিয়তা হারাবে। মামুনুল হক কান্ডে ও এই মুহূর্তে তারা নিরব থাকতে চাইছে। মামুনুল হক কে এই মুহূর্তে বহিষ্কারের পক্ষে না, কারন তাহলে সরকার মামুনুল হক কে গ্রেফতার করে হেফাজত ইসলাম কে আর ও কোনঠাসা করে দিতে পারে এমন আশংকা করছে কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সরকারের মামলা গ্রেফতারের নানামুখী চাপ মোকাবিলায় বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে এগোচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। তারা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন, জেলায় জেলায় আইনি সহায়তা সেল গঠন এবং বিভিন্ন দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া সমমনা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় ধরনের ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.