ক্রিকেটারদের ভাষায় প্রিমিয়ার লীগে খেলা পরিচালনা করে দানব,কসাই,ট্রাফিক পুলিশরা

১০১

মো: মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে নাকি খেলা পরিচালনা করে দানব,কসাই,ট্রাফিক পুলিশরা এই নাম আমরা বা কোনো সাংবাদিক মহল দেয়নি ত্যাক্ত বিরক্ত ক্রিকেটারেরা দিয়েছেন এই নাম। আবার অনেকেই বলেন আম্পায়াররা অন্যের চিত্রনাট্যে একজন অভিনেতা মাত্র।

ক্রিকেটারদের মনের ভিতর জমে থাকা এসব ক্ষোভের বহি:প্রকাশ করেছে সাকিব আল হাসান। যদিও প্রতিবাদের ভাষাটা সাকিবের মতো বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারে কাছ থেকে একদমই আশানুযায়ী না।

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন আছে এই টুর্নামেন্টে নাকি সত্যিকারের ক্রিকেট ম্যাচের বাহিরেও দুই ধরনের ম্যাচ হয় যার একটি ভাই-ব্রাদার ক্যাটাগরি অপরটি জুলুম ক্যাটাগরি।
শেষের জুলুম ক্যাটাগরির ম্যাচ গুলোকে কেউ কেউ বলে থাকেন কোপাকুপির ম্যাচ। এই কোপাকুপির ম্যাচ গুলোতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন দানব,কসাই,ট্রাফিক পুলিশরা। এখানে দানব,কসাই,ট্রাফিক পুলিশ এই নামগুলো আম্পায়ারকে দিয়েছেন ক্রিকেটেররা। এই ধরনের লীগে কোন ম্যাচ কোন ক্যাটাগরির ফিক্সার দেখে আগেই বল দিতে পারেন দর্শকরা। খেলোয়াড়দের সাইকোলজিতে তো এ বিষয় গুলো আগেই থাকে। গতকাল আবাহনীর হয়ে ব্যাটিং করা মুশফিকের এলবিডব্লিউ যে আম্পায়ার দিবেন না সেটা হয়তো আগে থেকেই আচ করতে পেরেছিলেন সাকিব। নিজের মেজাজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্টাম্পে লাথি মারলেন, বিষয়টি ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী এবং বেআইনিও বটে।

সাকিব যে এ ম্যাচ নিয়ে মানসিক ভাবে তেতে ছিলেন তার প্রমাণ মিলে তার ২য় দফায় করা কর্মকান্ডে। আম্পায়ার যখন ৫.৫ ওভারে বৃষ্টির কারনে খেলা বন্ধ করার ঘোষণা দেন তখনও ক্ষেপে গিয়ে হাত দিয়ে স্টাম্প উপড়ে আছাড় দিলেন সাকিব। ট-টোয়েন্টির নিয়ম অনুযায়ী ২ পক্ষে অন্তত ৫ ওভার করে খেলা হলেই ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়ম কাজ করে এই নিয়মে গতকালকের ম্যাচে ৫.৫ ওভারের পর খেলা না হলে জয়ী দলের নাম হতো মোহামেডান। কারণ ৫ ওভারে আবাহনীর ডার্কওয়ার্থ লুইস পার্স কোড ছিল ৪৭। তারপর ও এমন কেন করলেন সাকিব? হতে পারে আম্পায়ারদের ব্যাপারে মাথায় ঢুকে থাকা সাইকোলজি নাকি ৫ ওভারের এই নিয়মটি জানাই ছিল না সাকিবের। দেশের ফুটবলের এই বেহাল অবস্থার জন্য বাজে রেফারিং ও পাতানো ম্যাচকে অনেকে দায়ী করেন। ক্রিকেটের বোনে-দি সংগঠকরা মনে করেন যদি আম্পায়ারদের পক্ষ পাতিত্ব আচরণ থেকে যদি ক্রিকেটকে বের করে আনা না যায় তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটকে এক সময় ভোগ করতে হবে ফুটবলের পরিণতি। আম্পায়ারদের এ ধরনের কান্ডে কেউ কখনো প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু সাকিব সব কিছুতে ব্যতিক্রম। প্রতিবাদটি তিনিই করেছেন যদিও প্রতিবাদের ভাষাটা নিদাহাস ট্রফির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের মতো আরও পরিণত হতে পারতো।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.