কুয়াকাটায় ইউএনও হামলার শিকার

২৬

কাজী মোঃ রাইসুল ইসলাম,কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকন্দ্রে এলাকায় করোনা নিয়ে জনসচতেনতা মুলক প্রচার কাজ তদারকি করতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক। সোমবার ৫ তারিখ আনুমানিক রাত আটটার সময় কুয়াকাটা পৌরসভার চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় বিকেল থেকে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে করোনা সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছিল। সন্ধ্যায় ইউএনও কুয়াকাটা এলাকার জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম তদারক করছিলেন। এ সময় ইলিয়াস শেখ নামে এক ব্যক্তি এসে বলেন, এসব কাজ কেন করা হচ্ছে এতে কোন লাভ নেই, জনগণের এরকম নানা কথা সে বলতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে ইউএনও ইলিয়াস শেখকে আটক করতে বললে পুলিশ তাকে ধরে মার শুরু করে কোন মতে সে ছুটে পালায় । এ ঘটনায় এলাকার জনগন বিক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার ৭০-৮০ জন লোক সদলবল এসে ইউএনওকে হেনেস্তা ও গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে ইউএনওর সরকারী গাড়ির ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এমন পরিস্থিতিতে ইউএনওকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর গাড়ি চালক মোঃ আফজাল হোসনে (৩৮) এবং তাঁর দেহরক্ষি সঞ্জয় দাস (২৯) জনগণের হামলায় আহত হয়।

কলাপাড়া উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার এ ঘটনায় অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলেন, আমি উদ্ভুত পরিস্থিতির খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। দেখি ইউএনওকে বেশ কিছু লোকজন অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমিসহ কয়েকজন তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, ইলিয়াস শেখ হলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুয়াকাটা পৌর শাখার সাংগঠনকি সম্পাদক ও কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার সভাপতি।
এ নিয়ে ইলিয়াস শেখের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি। তবে তাঁর ভাই ইসমাইল শেখ বলেন আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে শুনেছি ইউএনও সাহেবের লোকজন আমার ভাইকে মারধর করেছে। তবে তাঁর কী অপরাধ ছিল সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। ইলিয়াস শেখ কে কলাপাড়া ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেয়া হয়েছে বলে জানান।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, অবশ্যই সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.