মোঃ সাইফুল ইাসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৪শে এপ্রিল।
ইতিহাসের এই দিনে মনে করিয়ে দেয় স্বজন হারানোর বেদনা, আবার অনেকেই আজও বয়ে বেড়াচ্ছে রানাপ্লাজা ধ্বংসের নির্মম ক্ষত নিয়ে। এখনো কেউ কেউ পঙ্গুত্বকে বরন করে জীবনের কাছে হার মেনে গেছে।
২০১৩ সালের কাক ডাকা সকাল গড়িয়েই ৮ঃ৪৫ মিনিটে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বহুতল ভবন রানাপ্লাজা মুহুর্তেই ধ্বসে পড়ে।
ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে মারা যায় ১১৭৫ জন আর আহত হন ২ হাজারের মতো গার্মেন্টস শ্রমিক। যা পৃথিবীর ইতিহাসে তৃতীয় বৃহতম শিল্প দূর্ঘটনা। রানাপ্লাজা ধ্বংসে স্থবির হয়ে পড়ে ঘোটা বাংলাদেশ।
শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে বাংলাদেশসহ ঘোটাবিশ্ব।
লাশের সারির দীর্ঘ মিছিলে যুক্ত হয় সাভারের রানাপ্লাজার গার্মন্টেস শ্রমিকদের মৃতদেহ। আহতদের সাভার এনাম মেডিকেলসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কেউবা হারিয়েছে স্বজন, কেউবা হারিয়েছে নিজের শরীরের মূল্যবান অংশ, এখনো পঙ্গুত্বের সাথে লড়াই করে অনেকে জীবন অতিবাহিত করতেছে। সেই ভয়ার্ত ধ্বংস প্রাপ্ত দূর্ঘটনা করুন আর্তনাতে ভারী করে স্বজনদের কান্না। থেমে থেমে দগ্ধ ক্ষতের আজীবন চিহ্ন নিয়ে বয়ে বেড়াবে ভুক্তভোগীরা কিংবা ভুক্তভোগীদের পরিবার।
চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাবে রানাপ্লাজা ধ্বংসে নিহতের স্বজনরা। কালের নির্মম সাক্ষী হয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলো ২৪ এপ্রিল রানাপ্লাজা ধ্বংস।