ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ বিশ্ব প্রকৌশলী দিবস। বিশ্বের অন্যন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ও আজ ৭ই মে পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্রকৌশলী দিবস। প্রকৌশলী দিবস উদযাপন করা হয় কারন প্রকৌশলীরা হলেন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটিয়ে ব্যবহারিক সমস্যার নিরাপদ এবং অর্থনৈতিক বিচারে গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজাই প্রকৌশলীর কাজ। প্রকৌশলী শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ engineer এসেছে লাতিন ingenium থেকে, যার অর্থ ‘চালাকি’। তবে গত কয়েক শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের পর ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে অর্থেরও খানিকটা পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে প্রকৌশলী বলতে ব্যবহারিক বিজ্ঞানীদেরকে বোঝানো হয়।
বিশ্বের যে দেশে যত দক্ষ প্রকৌশলী আছে সে দেশ তত উন্নত। একটি দেশ আধুনিক ডিজিটাল উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করতে হলে দক্ষ প্রকৌশলী থাকতে হবে। চীন, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা সহ অন্যন্য কয়েকটি রাস্ট্রে দক্ষ প্রকৌশলী থাকায় খুব দ্রুত বিশ্বকে তাদের বিভিন্ন সক্ষমতার জানান দিতে পেরেছে।
মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে একটি কাজ কত কম সময়ে, কত সহজে, কম খরচে কতটা নিখুতভাবে সম্পন্ন করা যায় সেই প্রক্রিয়া। যে কারনে মানুষের নিত্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নত দেশগুলো এত সাফল্য অর্জন করেছে তার পেছেনে মূল কারন তারা সবাই জীবনের ছোট-বড় সকল ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান প্রয়োগ করে। যে কোন কাজ কম সময়ে, সহজে, কম খরচে নিখুতভাবে সম্পন্ন করতে পারে, তারা অপরের অর্জন শুধু ভোগ না করে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার জন্য নিজেরা চেষ্টা করে। তাই আপনি কোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নেবেন, আপনার পছন্দের ফিল্ডটি কোনটি সেই বিষয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।