সঞ্জয় বৈরাগী, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্তের অনুসারী এক ব্যক্তির সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালকের দ্বন্দ্বে নেছারাবাদে অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে উপজেলার সকল এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এলাকায় ওই দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটে। এ কারণে আজ বরিবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ সকল প্রকার প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সও চলতে দেখা যায়নি।
এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে জরুরী রোগীর স্বজনরা। জরুরি রোগীদের অনেককে অধিক ভাড়ায় মাহেন্দ্র করে বিভাগীয় শহর বরিশালে যাচ্ছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য।
হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক ইব্রাহিম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্তের অনুসারীরা একজন রোগীকে বরিশাল নিবেন বলে তাকে ফোন করে। এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ইব্রাহিম ছুটে এসে রোগীর রেফারেন্স কাগজ দেখে গাড়ীতে নিবেন বলে জানালে ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্তের সাথে কথার কাটাকাটি বাঁধে। এসময় চেয়ারম্যানের এক অনুসারী ড্রাইভার ইব্রাহিমকে ঘুষি মারে। এতে আঘাত পেয়ে ড্রাইভার অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাই অসুস্থতার কারণে তিনি এ্যাম্বুলেন্স চালানো সাময়িক বন্ধ রেখেছেন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত জয় বলেন, সামান্য একটি বিষয় নিয়ে ড্রাইভারের সাথে তার লোকের একটু কথার কাটাকাটি হয়েছিল। এজন্য তিনি রবিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে তার অনুসারী ওই ছেলেকে চড় থাপ্পড় দিয়ে উপযুক্ত বিচার করেছেন। তাছাড়া ওই ড্রাইভার প্রায়ই ছুটিতে থাকেন। এতে অনেক রোগীরা ভোগান্তি পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, মারধরের কারণে ড্রাইভার ইব্রাহিম একটু অসুস্থ। এজন্য আজকে তিনি গাড়ী চালানো বন্ধ রেখেছেন। তিনি বলেন বিষয়টি আজকের মধ্য সমাধান হয়ে যাবে।