স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে বাড়িতে আনলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার এক যুবক। হারুন অর রশীদ বাদশা নামের ওই যুবক তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত আছেন।
গতকাল ১৪ নভেম্বর, শনিবার দুপুরে তিনি উপজেলার সোনাপুর পাবনাপাড়ার নিজবাড়ির এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে যান রাজশাহীতে। সেখানকার একটি কমিউনিটি সেন্টারেই তার বিয়ে হয় গোদাগাড়ি উপজেলার রাজাবাড়ি হাট এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট নূহুন নবীর মেয়ে প্রকৌশলী উর্মী আক্তার এনির সঙ্গে।
ছোট বেলায়ই ছেলে বাদশাকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার স্কুলশিক্ষক বাবা মাওলানা নূরুল ইসলাম। আর এই বিয়েতে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।
জানা গেছে, বর ও কনে দুজনেই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভারসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউয়েট)পড়াশোনা করতেন। হারুন অর রশীদ বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে উর্মী আক্তার এনি এখনো চাকরিতে যোগ দেননি।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, ছোটবেলায় আকাশে বিমান উড়তে দেখে তার ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই শখ পূরণ করতেই এক লক্ষ ৫৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে হেলিকপ্টারে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ টায় তার দুই জামাতা ও এক নাতনিকে সাথে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হন তার ছেলে হারুন অর রশীদ। আর বরযাত্রীদের মাইক্রো বাসে করে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়। এদিকে আজ ১৫ নভেম্বর, রবিবার বরের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন রয়েছে।
এদিকে গ্রামের মধ্যে হেলিকপ্টারে করে বাড়িয়ে বউ আনার ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। বর যখন সোনাপুর স্কুল মাঠে হেলিকপ্টারে চড়তে যান, তখন শত শত গ্রামবাসী বরযাত্রা দেখতে হাজির হন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এসএম আবু সাদাত জানান, থানায় আগেই বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিল। যে কারণে হেলিকপ্টারসহ লোকজনের নিরাপত্তায় বিয়ের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়।