রাসেল আদিত্য, স্পোর্টস ডেস্ক :
সিরিজ নির্ধারনী মিরপুর টেস্টের প্রথম হাসিটা মমিনুল হাসলেন টসে জিতে।আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে কালক্ষেপণ করেননি।ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মমিনুলের হাসিটা মিলিয়ে যায় জয়ের আউটের মাধ্যমে।
স্কোরবোর্ডে কোন রান নেই, উইকেট একটি।
তারপর ৬/২,১৬/৩,২৪/৪,২৪/৫!পুরো জাতি
তখন বিভ্রান্ত ও আতংকিত।হয়তো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায় রচিত হতে চলেছে আজ মিরপুরে,এমনটিই ভাবছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীদের সবাই।পঞ্চম উইকেট পতনের সময় ওভার চলছিলো ৬.৫। বোলিংয়ে রীতিমতো আগুন ঝরাচ্ছিলেন দুই লঙ্কান পেসার রাজিথা ও ফার্নান্দো।কিন্তু সৃষ্টিকর্তা
ঠিক করে রেখেছিলেন ভিন্ন কিছু।তিনি যে মিরপুর টেস্টের আজকের দিনকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন,বিশ্বের নামকরা ক্রীড়া সাংবাদিককেও ম্যাচ ডে রিপোর্ট
লিখতে উপযুক্ত শব্দের জন্য হাপিত্যেশ করিয়ে ছাড়বার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, সকালের অমন বিভীষিকা দেখে অমন কল্পনা করতে সাহস করে মানুষের কি আর সেই সাহস আছে?
পন্চম উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ দলের সাবেক ও বর্তমান উইকেটরক্ষক তথা চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিম ও ৮৮ রানের
ইনিংস খেলা লিটন দাস জুটিবদ্ধ হলেন।চিত্রনাট্য যে সৃষ্টিকর্তা এমন করেই লিখেছেন।তাঁর বাইরে যাওয়ার সাধ্য নেই কারো।দুজনকে দিয়ে লেখাতে
শুরু করলেন প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য ইতিহাস।২৪/৫ থেকে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ
২৭৭/৫!যাঁর মানে হলো অপরাজিত ২৫৩ রানের জুটিকে নিয়ে আগামীকাল হয়তো আরও কিছু লেখাবেন বলে স্থির করে রেখেছেন তিনি।কাল কি হবে তা কাল দেখা যাবে।আজ যা হয়ে গেলো
মিরপুরে তা ইতিমধ্যে প্রত্যাবর্তনের ইতিহাসে অমরত্ব নিশ্চিত করে নিয়েছে।দিনের খেলা শেষে
নামের পাশে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ১১৫ ও
লিটন দাস অপরাজিত ১৩৫ নিয়ে যখন প্যাভিলিয়নের পথে এগিয়ে আসছিলেন, বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি তখন এমনই গর্বিত অনুভূতির স্বাদ পাচ্ছিলো,যা ইতিপূর্বে কোনদিনই
পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
দৈনিক সাহসীকন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে দুই উইকেটরক্ষকের(পড়ুন ইজ্জত রক্ষক) প্রতি থাকলো অভিবাদন,সম্মান ও ভালোবাসা।