মোঃ মোকসেদুর রহমান,ঠাকুরগাঁও: উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান করায় শীতে ঢাকা পড়তে শুরু করেছে । জেলায় কিছু দিন থেকে শীত পড়তে শুরু করায় জমে উঠতে শুরু করেছে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকান গুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বিভিন্ন মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দিনে রোদ হলেও সন্ধ্যায় ও ভোর বেলায় থাকে হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। এর মধ্যেই ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণ কাপড়ের জন্য স্বচ্ছল ক্রেতারা যেমন মার্কেটের দোকানে যাচ্ছেন। তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষেরাও ভিড় করছেন পুরনো শীতবস্ত্রের অস্থায়ী দোকান গুলোতে। ক্রমেই ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠছে পুরোনো শীতবস্ত্রের বিভিন্ন বাজার।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে শহরের ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে ও অডিটোরিয়াম বিডি হলের সামনে,বঙ্গবন্ধু সড়কের ধারে অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা দোকান গুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রয় করা হচ্ছে। গরীবদের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষও সুলভ মূল্যে পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা কয়েজন ক্রেতা জানান, শীত শুরু হওয়ায় তারা কাপড় নিচ্ছেন। মার্কেট থেকে এসব দোকানে কমদামে কাপড় পাওয়া যায়, কিন্তু গত বারের তুলনায় এবার এসব দোকানে দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠের কয়েকজন কাপড়ের দোকানদার বলেন, কয়েক দিন ধরেই প্রায় সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জন্য বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় দেশে আসছে না। গুদামে কয়েক বছর আগের মজুত করা কিছু কাপড় নিয়েই দোকান চালু করছে ব্যবসায়ীরা। মাল নাই তাই দাম একটু বেশি।
অন্যদিকে,ঠাকুরগাঁও অডিটোরিয়াম বিডি হলের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কের ধারে অস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এবার করোনা ভাইরাসের কারণে কালিবাড়ির কাঁচাবাজার ও মাছের বাজার, ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) বসায়,তারা ওই স্থানে আর দোকান করতে পারছেন না। রাস্তার ধারে ধুলো-বালি দিয়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার ধারে ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের কাপড় কিনতে সমস্যা হচ্ছে। দোকান গুলো নির্দিষ্ট স্থানে বসার ব্যবস্থা করে দিলে তাদের জন্য ভালো হয়।
বর্তমানে একটু বেচাকেনা কম হলেও,ভালোভাবে শীত শুরু হলে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে তারা আশাবাদী।