মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্টার :
করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন বিস্তারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং লকডাউনে যেতে পারে দেশ এমন আশংকায় ছিল গরিব খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা, আজ ২১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ২০ সালের মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করার পর তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২১ সালে বছরের শেষ পর্যায়ে এসে শ্রেণিতে পাঠদান কমিয়ে কোনো রকম চালু করা হয় এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থীদের দেয়া হয় অটোপাশ যা বর্তমানে ট্রলের অংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ হওয়ার শুরু থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাকি সব চালু রাখার নজির রয়েছে।
বর্তমানে অনার্সে পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় থাকলেও ওমিক্রণ সংক্রমণের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে সব চালু রেখে বন্ধ দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অনার্সে পড়ুয়া ২০১৭-১৮,১৮-১৯-১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রয়েছে ২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত একই বর্ষে।
যদি গণ পরিবহন সহ লঞ্চ,পর্যটন কেন্দ্র,গার্মেন্টস সহ সব কিছু যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারে তাহলে কি স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারবেনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা?
গতবছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে লকডাউন দেয়া হয় সেই চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায় কঠোর লকডাউনে যেসব প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল তার অধিকাংশ মাঠে প্রয়োগ হয়নি।
পূর্বের চিত্রে দেখা গেছে সংক্রমণ বাড়লে লকডাউন বিধি নিষেধ দেয়া হলেও মানছে না অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি তাই এভাবে লকডাউন বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিস্তার রোধ নাকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতার মাধ্যমে সচেতনতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতা মূলক করা জরুরি?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে থাকে না,অপর দিকে শিক্ষার্থীর পরিবারের বাকি সদস্যরা ও বাসায় বসে থাকে না সংক্রমণের ঝুকি থেকেই যায় এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আসক্ত হচ্ছে অনলাইন গেমসে,হচ্ছেন নেশাগ্রস্থ,মেয়েদের হচ্ছে বাল্য বিবাহ, আর দেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর পড়ালেখার আর্থিক সমস্যাতে ভোগাতে হয় বেশিরভাগ পরিবারকে থাকে শিক্ষার্থীর উপর চাপ এমন অবস্থায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এ ধাপের শিক্ষার্থীরা।