জাকারিয়া মাহমুদ প্রিন্স
জেলা প্রতিনিধি বরিশাল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ‘লাঞ্ছিত’ করার অভিযোগে বিআরটিসির এক কর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার পর মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত ১৩ শিক্ষার্থীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সড়ক অবরোধের কারনে দূর্ভোগে পরে হাজারো যাত্রী, গন্তব্যে পৌছাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে,এই সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেক যাত্রী আহতো হয়েছেন।এবং যাত্রীদের দূর্ভোগকে পুঁজি করে ইজিবাইক,টেম্পো, আলফা মোটরসাইকেল ড্রাইভাররা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে দিগুণের ও বেশি।অতিরিক্ত ভাড়া গুনেও গন্তব্য কখন পোঁছাতে পারবেন জানা নেই যাত্রীদের।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার দুপুরে। সজল নামের এক শিক্ষার্থী রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন যাশোরের বাসের টিকেট কাটতে। সেখানে বিআরটিসির কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিকালে রুপাতলী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। পরে বিআরটিসির কাউন্টার কর্মী রফিককে পুলিশ আটক করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয় বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মো. আসাদুজ্জামান জানান।
এরপর রাত ২টার দিকে রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটে বলে আহতদের ভাষ্য।
তাদের অভিযোগ, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে একদল পরিবহন শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই হামলা চালায়।
পরে আহতদের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একজন।
ওই ঘটনার পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। ভোরের দিকে ফিরে গেলেও সকালে আবার ফিরে এসে তারা অবরোধ শুরু করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একপর্যায় অধ্য বুধবার সকাল ১০টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছি, হামলায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা কাউসার বলেন, “আমি ঘটনা জানি না। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আরিফ হোসেন বলেন, “আজ বাস-মালিক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক হবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।”