মেহেদী হাসান সজীব, ডেস্ক রিপোর্টঃ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল শাহবাগ এলাকা। ৪ দফা দাবিতে সকাল থেকেই শত শত শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে শাহবাগে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় তারা শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা, দ্রুত ক্লাস চালু, সেশন জট ও বাড়তি ফি প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ করছিল।
এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো শাহবাগ।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা তাদের স্লোগানে বলেন, ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘এক দেশে দুই নীতি-চলবে না চলবে না’।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনায় দেশের সব কিছু এলোমেলো করে দিয়েছে, দোটানায় ফেলেছে আমাদের। অবিলম্বে আমাদের তাত্ত্বিক বিষয় গুলো অটোপাশ দিতে হবে। অতিরিক্ত ফি আদায় ও সেমিস্টার ফি কমাতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে আন্দোলনের একপর্যায়ে পুরো শাহবাগ জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেওয়ায় পুলিশ আন্দোলন কারীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। সেসময় শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে না দেওয়ার ফলে পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলন কারীরা পরে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে পুলিশ বিক্ষোভের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং এসময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং বিক্ষোভের ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এই দিকে লাঠিচার্জের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের শাহবাগ থেকে সরাতে আন্দোলন কারীদের মুখপাত্র মেহেদী হাসান লিমন, জান্নাত সহ ৪/৫ জন শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার কৃত শিক্ষার্থীরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পুনরায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করার প্রস্তুতি সহ ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে পুনরায় মানববন্ধন করার চেস্টা করছে।
এদিকে শাহবাগের আজকের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি সহ ৪ দফা দাবি মেনে নিতে এবং হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক রাশেদ, যুগ্ন আহবায়ক মশিউর সহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এরআগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি চার দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে প্রায় ১১ মাস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কারিগরী শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর চারটি দাবি জানান তারা।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- এক বছর লস মানি না। স্থগিত হওয়া ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ পর্বের পরীক্ষাগুলোকে অটোপাস দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পরবর্তী পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া।১ম, ৩য়, ৫ম ও ৭ম পর্বের ক্লাস চালু করে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে। সকল অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও বেসরকারি পলিটেকনিকের সেমিস্টার ফি অর্ধেক করা। চলতি বছরের মধ্যে ডুয়েটসহ অন্যান্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করা।
apnader kotha tik ache..tahole oi police kno mittha briefing dicche?