মোঃ রাসেল মিয়া,ফুলপুর,ময়মনসিংহঃ গ্রেনেড বিষ্ফোরণে নিহত সেনাবাহিনীর অফিসার তৌফিকুর রহমানের লাশ সোমবার দুপুরে ৩ ঘটিকায় ফুলপুরের পয়ারী গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার করে আনা হয়। পড়ে জারুয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ফুলপুর উপজেলার জারুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আজাহারুল ইসলামের পুত্র তৌফিকুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরের লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন। ঢাকাস্থ সাভারে শীতকালীন মহরায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক সিপাহীর ফায়ারিং প্র্যাক্টিসে অসাবধানতা বশতঃ গ্রেনেড বিষ্ফোরিত হয়ে তৌফিকুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
এ খবর জানার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। রোববার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে উনার লাশ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার পয়ারী গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে নামে। পরে গাড়ীযোগে লাশ জারুয়া গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। এ সময় পরিবারসহ শোকার্ত মানুষের কান্নায় বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠছিল। পরে জারুয়া স্কুল মাঠে উনার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সেনাবাহিনীর সদস্যগণের গার্ড অফ অনার প্রদান শেষে পাবিবারিক গোরস্থানে উনার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জারুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আজাহারুল ইসলামের ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে লেখাপড়া করে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। উনার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন।