মো: জহিরুল ইসলাম,মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহঃ আফগানিস্তান, সিরিয়া,কাস্মীর ও সোমালিয়ার মত বড় বড় সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল।
অন্যান্য দেশের মত, আমাদের দেশেও এই ভয়ানক সংঘাত তৈরির সম্ভাবনা থাকতে পারে।তার আগেই এই দুই দলকে একত্র করে শান্তি স্থাপন করার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।
কিন্তু কিভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরটা তাদের জন্য বুঝা জরুরি যারা যুক্তি ছাড়া কিছু বিশ্বাস করতে চান না।
ধরুন, যুক্তিবিজ্ঞানের যুগে কেউ ধর্মের অপ্রমাণিত কিছু বিশ্বাস করতে নারাজ।যেমন পরকাল।এখন কোনো একসময় অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো যুক্তিবিজ্ঞানের মেয়েকে কেউ একজন ধর্ষন করল। যুক্তিবিজ্ঞানে বিশ্বাসী ব্যক্তিটি, ধর্ষনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, হাইকোর্টে মামলা করলেন। নিদিষ্ট বিচারের দিন,জজ সাহেব ধর্ষনকারীকে জিজ্ঞাসা করলেন। আপনি কি মেয়েটিকে ধর্ষন করেছেন? ধর্ষনকারীর উত্তর হ্যাঁ,আমি তাকে ধর্ষন করেছি। ধর্ষনকারীর স্বীকারোক্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায়,ধর্ষনকারীকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হলো। এটা শুনেই ধর্ষনকারী চিৎকার করে বলতে লাগলেন, আপনারা আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করছেন!
এই কথা শুনে জজ,যুক্তিবিজ্ঞানী এবং উপস্থিত সকলেই তাকে উন্মাদ বলতে শুরু করলেন।কিন্তু ধর্ষনকারী আরো বললেন, ধর্ষন করতে আমার ভালো লাগে, আমি ধর্ষন করে মজা পাই। তাহলে কোন যুক্তিতে আমাকে অপরাধী বলা হচ্ছে? কেউ কেউ উত্তর দিলেন,এটা অপরাধ, এটা ঘৃণ্য কাজ,এটা সমাজ বিরুদ্ধ কাজ,এটি একটি মেয়ের ইজ্জত হরণ করার জন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ধর্ষনকারীর একি কথা,আমি ধর্ষন করে মজা পাই,ভালো লাগে,তাই করি।আপনারা একটা যুক্তিক কারণ দেখান যে,ধর্ষন অপরাধ।তাহলে আমি নিজেকে অপরাধী মেনে নিব।
সুতরাং যুক্তি দিয়ে কখনই প্রমাণ করা যাবে না যে,ধর্ষন একটি অপরাধ। বস্তুূত,এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার কোনো সৃষ্টি নাই যে,শুধুমাত্র যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন যে,ধর্ষন করা,ঘুষ খাওয়া, মিথ্যা মামলা দেওয়া, কাউকে ঠকানো,চুরি করা, ডাকাতি করা এগুলো অপরাধ।তাহলে কিভাবে প্রমানিত হবে এগুলো অপরাধ?
রাস্তা একটাই,সৃষ্টিকর্তার বাণীতে বিশ্বাস।যা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে ধর্মগ্রন্থে,কি করা যাবে আর কি করা যাবে না।আর যদি কোনো ব্যক্তি সীমা লঙ্ঘন করে,তবে তাকে এই পৃথিবীতে শাস্তি পাওয়ার পাশাপাশি পরকালেও রয়েছে কঠিন আজাবের ব্যবস্থা।এখন এই যুক্তিবিজ্ঞানী পরকাল অবিশ্বাস করলে(যদিও পরকাল বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ করা যাচ্ছে না),যুক্তি দিয়ে কখন ধর্ষনকে অপরাধ হিসেবে প্রমাণ করা তার পক্ষে কেন,কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
সুতরাং আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য হলো পরকাল। আর সেখানে পৌঁছার রাস্তাটি সকলের কাছেই খুব পরিচিত। আর সেটা হলো মৃত্যু।রাস্তা পরিচিত হলেই হবে না,বরং অন্ধকার পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য আলোর প্রয়োজন লাগবে।আর সেই আলো হলো,সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে,সৎ কর্ম করা।আশার কথা হলো,সৃষ্টিকর্তা এই আলো(সৎ কর্ম)তৈরি করার জন্য যাবতীয় উপাদান এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন।তাই তো মহান সৃষ্টিকর্তা বলেন,”আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য,অতএব আছে কি কোনো চিন্তাশীল ” (সূরা কামার, আয়াত:১৭)