আমির হোসেন,ডেস্ক রিপোর্টঃ অন্য অনেক দিবসের মতো আমরা এখন মা- বাবা দিবস ও পালন করি।৯ই মে মা দিবস পালন করি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মা ভক্তদের প্রচুর পোস্ট দেখা যায়।
কিন্তু এতো মা বাবা প্রেমি থাকতে দেশে দিন দিন বৃদ্ধাশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কি শুধু সামজিক মাধ্যমে মানুষকে দেখানোর জন্য এইসব করা।
এই দিবস নিয়ে ইসলাম যা বলেঃ
মা এবং বাবার প্রতি সদাচরণ করা,বিনম্র হওয়া তাদের সকল যৌক্তিক নির্দেশ মেনে চলা এবং এটা প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তের জন্য ফরজ। আল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সমূহের মধ্যে এটি একটি। নবী করিম (সঃ) বলেন রবের সন্তুষ্টি মা-বাবার মাঝে নিহিত।
শুধু তাই নয় পৃথিবীর প্রচলিত যত ধর্ম আছে তার মধ্যে ইসলাম মা বাবার স্থান সবার উপরে দিয়েছে। মা বাবার পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।অন্য কোন ধর্মে মা-বাবা কে এতো উচ্চ আসন দান করে নাই।
আজ মুসলিম জাতি অন্য ধর্ম অনুসরণ করে একটি দিনে মা বাবার জন্য ভালোবাসা দেখায় অথচ ইসলাম তা সমর্থন করে না। এই নিয়মটা পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রচলিত ছিল যার বছরের একটি দিনকে মা বাবার জন্য উৎসর্গ করে। বর্তমানে মুসলিমরা ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রচলিত নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলছে। মা- বাবা দিবস সম্পর্কে বড় বড় স্কলার এবং আলেম ওলামারা বলেন একজন মুসলমানের এই সব দিবস পালন করা জায়েজ নাই। যে সব দিবস ইসলাম সমর্থন করে না।
নবী করিম (সঃ) বলেনঃ মা বাবার সেবা করা জেহাদ এর সমতুল্য।
তাওহিদের দ্বিতীয় দায়িত্বوَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না এবং বাবা-মার সাথে উত্তম ব্যবহার কর।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩)