মোঃইয়াসিন তালুকদার হাসিঃ মাদরাসা ছাএদের মিছিলে হামলা ও ১৮জন ছাএকে আটকের ঘটনায় গভির উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দাঃদাঃ।
শনিবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,ভাস্কর্য ও মুর্তি বিরোধিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা নয়।এটা যারা বুঝতে পারেনা তারাই এইদেশে বিশৃঙ্কলা সৃষ্টির পায়তারা করছে।ভাস্কর্য বিরোধি মাদরাসা ছাএ জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের লাটি চার্জ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিরিহ মাদরাসার ছাএদের মিছিলে এধরনের লাটি চার্জ সরকারের জন্য সুখকর হবে না। তিনি অবিলম্বে গেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম হুজুর বলেন,দেশের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ,ও চট্টগ্রামেরর ছাএলীগ,যুবলীগকে মাঠে নামিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করিয়ে সরকার অতন্ত্য খারাপ দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছে।
ছাএ-যুবলীগ যখন সারাদেশে ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছে, তখন তাদেরকে নিয়ন্ত্রন ও নিবৃত না করে ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে সরকার অতন্ত্য ন্যক্কারজনক কাজ করেছে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম হুজুর আরও বলেনঃ ওলামায়ে কেরাম শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধিতা নন,তারা সব মানব মুর্তি ভাস্কর্যের বিরোধী।ওলামায়ে কেরাম বঙ্গবন্ধুসহ দেশ ও জাতির মানবতার কল্যাণ চান বলেই তার বিরোধীতা করছেন। ওলামায়ে কেরাম মুর্তি ও ভাস্কর্যের বিষয়ে খোলামেলা বিশ্লেষণ করে জাতিকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।ভাস্কর্য বা মুর্তি অকল্যাণের প্রতীক। এতে কোনো ও কল্যান নেই। বঙ্গবন্ধুর নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদরাসা স্কুল কলেজ বানিয়ে তাকে সরণীয় করে রাখুন।এতে প্রতিনিয়ত, তার আত্মায় সওয়াব পোছতে থাকবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম হুজুর আরও বলেনঃ অনেক বুদ্ধিজীবি মুর্তিবিরোধীদের বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে দাড় করানোর অপচেষ্টা করছেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব পূণ।
ইতোমধ্যে ধর্মপ্রান মুসলমানরা হাই কোর্টের সামনে থেকে মুর্তি অপসারনে যেমন আন্দোরন করছেন, এখন দোলাইপাড়ে মুর্তি স্তাপনসহ সারাদেশে মানব মুর্তি নির্মিত বিরোধীতা করছেন।