মেহেদী হাসান, জেলা প্রধান, জামালপুরঃ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার অর্জন এর জন্যে নির্ভীক ঝাঁপিয়ে পড়ার অনন্য দৃষ্টান্ত এই কামালপুর যুদ্ধ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কামালপুরের সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলে (বর্তমানে জামালপুরের বক্সীগঞ্জের কামালপুর)। জেড ফোর্সের ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কর্তৃক ঘাঁটিটি দখলের জন্যে ৪ বার সরাসরি (সেটপিস) ও ২০ এর অধিক খন্ড যুদ্ধ (হিট অ্যান্ড রান) সংঘটিত হয়েছিল।
১২ই জুন ছিল শুরু, দ্বিতীয়টি ৩১শে জুলাই, তৃতীয়টি ১৪ নভেম্বর এবং শেষ হয় ৪ঠা ডিসেম্বরের আক্রমণের মধ্য দিয়ে, যখন কামালপুর ঘাঁটিতে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩১ বালুচের কোম্পানিটি বেশ কয়েকজন রাজাকারসহ আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনীর অপর এক আক্রমণে পাকিস্তানি সৈন্যদলকে পরাস্ত করে জামালপুরকে স্বাধীন করে।
পুরো মুক্তিযুদ্ধে কামালপুর অভিযানে সর্বমোট ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩১ বালুচের একটি কোম্পানির কমান্ডার মেজর আইয়ুব সহ ২২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
বীর উত্তম থেকে বীর প্রতীক মিলিয়ে সর্বমোট ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা সাহসীকতা পদক পেয়েছেন শুধু কামালপুর যুদ্ধের জন্যই।
সেই লক্ষ্যে প্রতি বারের মতোই এবারও মুক্তিযুদ্ধাদের স্মৃতিতে নির্মত কামালপুর স্মৃতি-সৌদ্ধে
মহান শহীদের প্রতি দোয়া, পুষ্পস্তবক অর্পন, বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান লিজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস, থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম (সম্রাট),উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রতাপ নন্দীর, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, শাহজাহান আলী, ধানুয়া কামালপুর কো অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন, সহ কারী প্রাধান শিক্ষক মো: মেসবাহ উল হক তুহিন, ধানুয়া কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে ধানুয়া কামালপুর শহীদ কেপ্টেন সালাউদ্দিন ইষ্টেডিয়ামে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় জনপ্রিয় খেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।