ভালুকা সরকারি কলেজে অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স চালুকরা আবশ্যকঃ দেশবীর বাদেশী

৫২৮

মোঃ সজীব হোসাইন,ভালুকা,ময়মনসিংহঃ ১৯৭২ সালে তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য, ভাষাসৈনিক মোস্তফা এম.এ মতিনের নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত করেন- ভালুকা কলেজ। ভালুকা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি জনপদ। এই এলাকায় সকল শ্রেণীর লোক বসবাস করে। মুক্তিযোদ্ধের সময় গড়ে উঠেছিল- “আফসার বাহিনী” যার সুনাম সমগ্রদেশে রয়েছে।

প্রথমে শুধু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী নিয়ে শুরু করলেও সময়ের প্রয়োজনে উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৮৪ সালে স্নাতক (পাসকোর্স/ডিগ্রি) চালু করা হয়। ২০১৮ সালে ভালুকা ডিগ্রী কলেজটি সরকারি হয়েছে। যার ফলে কলেজটি নাম ধারণ করেছে, “ভালুকা সরকারি কলেজ” বাংলাদেশের প্রথম মডেল থানা ভালুকা। রাজধানী ঢাকা থেকে এতদূরে একমাত্র উপজেলা ভালুকা যেখানে বহুসংখ্যক জনগণের বসবাস। লোকমুখে ভালুকাকে ময়মনসিংহের রাজধানী বলা হয়, কারণ এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০০টি শিল্পকারখানা। এখানে বসবাস করে চৌষট্টি জেলার জনগণ। এখানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কুমির খামার। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা H.S.C পাশ করার পর শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স করার জন্য যেতে হয় বহুদূর ৫০ কিঃমিঃ অধিক গাজিপুর ও ময়মনসিংহে। যার ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হয়, ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পিতামাতার। সম্প্রতি সময়- বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, ব্রিটিশবিরোধী, ভাষাসৈনিক, স্বাধীনতার সৈনিক দেশবীর মোঃ হোছেন আলী খান বাদেশী এক সেমিনারে বলেন, “ভাষাসৈনিক মোস্তফা মতিনের নেতৃত্বে ভালুকা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।- আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। তবু যেন আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে পারলাম না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে, ভালুকা সরকারি কলেজে অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স চালুকরা আবশ্যক।”

এছাড়াও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহঃ অধ্যপক ডাঃ মুশফিকুর রহমান সহ আরো অনেক বিশিষ্ট জনের এমন দাবি করে আসছেন।”

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.