বিজয়ের হাসি (পর্ব-১৩) স্বাধীনতার যেই সূর্য বাংলার তরুণ-তরুণী যুবতীদের হ্নদয়ের মধ্যে অনুপ্রেরণার আগুনের বাক্যমালা
লেখক, জহিরুল ইসলাম: স্বাধীনতার যেই সূর্য বাংলার তরুণ-যুবক আর তরুণী-যুবতীদের হ্নদয়ের মধ্যে অনুপ্রেরণার আগুনের বাক্যমালা বর্ষণ করত,সেই সূর্য আজ বাংলার যুবক-যুবতীদের হ্নদয়ের আকাশ থেকে বহু দূরে সরে গিয়ে নিম্নাচলে ডুবে যাচ্ছে।আজ স্বাধীনতার অনুপ্রেরণার সূর্যবিহীন তাদের অন্ধকার হ্নদয়ের সহস্র কর্ম সক্রিয়তার ছন্দে নেই কোন আকর্ষণ,নেই কোন স্নিগ্ধতা। তাদের উত্তাল হ্নদয় সাগর শুকিয়ে আজ ক্লেদাক্তে পরিণত হয়েছে।দৃশ্যমান সূর্যের অস্তমিত হওয়ায় একটি দিনের অবসান ঘটে,কিন্ত অদৃশ্য অনুপ্রেরণার সূর্য অস্তমিত হলে একজন যুবক-যুবতীর জীবনাবসান ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাজারো স্বপ্নে বিভোর এমন শত শত ছাত্র-ছাত্রী আজ আত্মহত্যার মত ঘৃণিত কর্মে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিতেও দ্বিধাবোধ করতেছে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অন্যান্য স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মহত্যার খবর বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকাগুলোতে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক দুর্দশা,বেকারত্ব জীবন কিংবা পারিবারিক কলহের জেরে ভবিষ্যৎ জাতির এই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা হতাশার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এই করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বেকারত্বের কারণে ভয়ানক পথভ্রষ্টের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
প্রত্যক্ষ সরকারি সহযোগীতা ছাড়া আত্মহত্যার এই ভয়ানক মহামারী থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরানোর বিকল্প নেই।
পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবার, সমাজ,রাষ্ট্রে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষায় বলিষ্ঠভাবে গড়ে তুলতে হবে।সরকারি চাকরির পাশাপাশি আরো বেসরকারিভাবে কর্মসংস্থানের খাত তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চিন্তা-বুদ্ধির তথা মনুষ্য বিবেকের বহির্ভূত নয় এমন কর্মের গবেষণায় তাদের নিযুক্ত করতে হবে।মনে রাখতে হবে, যেই জাতির শিক্ষায় ঘুণে ধরে যায়,সেই জাতির ব্যক্তি মনের চিন্তার স্বাধীনতায় কালোছায়া নেমে আসে।