লেখক,জহিরুল ইসলামঃ নতুন বছর অর্থাৎ ২০২১ সালটিকে বলা হবে,আইডেন্টিক্যাল ক্যালেন্ডার ইয়ারস বা যমজ দিনপুঞ্জির বছর।৫০ বছর আগের ক্যালেন্ডার অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১লা জানুয়ারি ছিল শুক্রবার। ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারিও শুক্রবার। দুটি বছরের শেষের দিনটিও শুক্রবার।শুধু তাই নয়,১৯৭১ সালের প্রতিটি দিনের তারিখ ও বারের সাথে ২০২১ সালের প্রতিটি দিনের তারিখ ও বারের সাথে রয়েছে হুবহু মিল। এমনটা একটি গাণিতিক নিয়মেই ঘটেছে।
তবে গাণিতিক হিসাব আমাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে না। অনুপ্রেরণা দিচ্ছে একাত্তর (৭১)। আমার প্রখর জ্ঞান,সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও বহুদর্শী বিবেক বহুবার জাতিগত ভৌগোলিক আঘাতের দ্বারা পথভ্রষ্ট হয়েছিল।কিন্তু বিবেকের যুক্তি-পরামর্শ ও পরিচালনার দ্বারা একাত্তর (৭১) থেকে আমি বারবার খুজে পেয়েছি নতুন অনুপ্রেরণা।ধ্বংসের অনলে জ্বলে-পোড়েও একাত্তরে বিশ্বপরিমণ্ডলে মাথা উঁচু করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছিলাম।অহংকার ও পাণ্ডিত্যের জোরে নয়!কিংবা গোলামী অবলম্বন করেও নয়!বরং একাত্তরেরর (৭১) স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে,ছড়িয়ে দেওয়া হোক পুরো জাতির মাঝে।
তাহাকে আমি ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারি না।যদি তাহাকে আমি ভুলার চেষ্টা করি,তবু আমার পাগল মন তাহার স্মরণে পাগল হয়ে উঠে।প্রাণের শত আবেগ-উচ্ছ্বাস যদি পদদলিত করতে হয়,তবুও করিব কিন্তু আমার হ্নদয়-মন থেকে কখনই তাহাকে সরানো যাবে না।তাহাকে নিয়ে আমার মনের আমোদ-প্রমোদ,আদর-আহলাদ,আনন্দ-ফূর্তি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা শীঘ্রই ফিরে আসতেছে।শত দুঃখ-বেদনার পরিসমাপ্তিতে অচিরেই আমার হ্নদয়ে শান্তির ফুল্লধারা প্রবাহিত হবে।
হ্নদয়গ্রাহী সত্যের কোমল পরশ লয়ে,চিত্তসুখে ছন্দের রূপকভঙ্গীতে হারানো সোনালী দিনগুলোই আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।
বিজয়ের সেই অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে, নতুন বছরেও সদা সর্তক চিন্তা-চেতনা ও সদা জাগ্রত চেষ্টার দ্বারা আগামী সফলতার দিকেই অগ্রসর হবো,ইনশাআল্লাহ।