মোঃ আব্দুল ওহাব,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকায় নিজ বাসার পেছন থেকে শান্তনা রায় মিলি (৪৫) নামে এক নারীর আগুনে ঝলসে যাওয়া মরদহে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ‘প্রারম্ভিক কিন্ডারগার্টেন’ নামে একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা।বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের একটি মার্কেটের গলি থেকে তার আগুনে ঝলসে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে শহরের চৌরাস্তার পাশে শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশের একটি মার্কেটের গলিতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল দিয়ে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত শান্তনা রায় মিলির স্বামী সমীর কুমার রায় পঞ্চগড় চিনিকলে কর্মরত। শহরের লোটো জুতার দোকানের শো-রুমের মালিক তিনি। এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। তাদের বাড়ি শহরের তাঁতীপাড়ায়।
এদিকে সাবেক স্কুলশিক্ষিকা মিলির ‘মৃত্যু’ ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ‘মৃত্যুর’ রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে সিআইডি, পিবিআই ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নিহত মিলির স্বামী সমীর কুমার রায়ের দাবি, ‘রাতে খেলা দেখে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কীভাবে তার স্ত্রী মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না।’বাসায় তার স্ত্রী সুইসাইড নোট রেখে গেছেন বলে দাবি করেছেন সমীর। তার দাবি, ‘মিলি মৃত্যুর আগে বাসার ডায়েরিতে তার রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা লিখে গেছেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলেও উল্লেখ ছিল তাতে।’
মিলির ছেলে রাহুল জানান, রাত ১১টায়ও তিনি তার মায়ের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পেছনের মার্কেটের গলিতে মায়ের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান তিনি। প্রতিবেশীরা তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মানতে পারছেন না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহটি আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা রাজিয়া বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের জন্য নিহতের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।