ডেস্ক রিপোর্টঃ ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ‘বর্ধমান হাউস’র সম্মুখে বটতলায় (বর্তমান নজরুল মঞ্চ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূর্ববাংলার তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী জনাব আবু হোসেন সরকার ‘উদ্বোধনী ভাষণ’ পাঠ করেন।
পূর্ববাংলার তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী জনাব আশরাফ উদ্দীন আহমদ চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব ছিলেন মুহম্মদ বরকতুল্লাহ, তার পদবি ছিল বিশেষ কর্মকর্তা বা স্পেশাল অফিসার।
প্রথম পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ এনামুল হক, প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মাযহারুল ইসলাম। একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ ছিল আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খানের ‘লাইলী মজনু’।
সেই থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ছয় সহস্রাধিক বই।
বইয়ের পাশাপাশি নিয়মিত প্রকাশনাও রয়েছে বাংলা একাডেমির।
‘বাংলা একাডেমি পত্রিকা’, ‘উত্তরাধিকার’, ‘বাংলা একাডেমি বার্তা’, ‘বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা’, ‘বাংলা একাডেমি জার্নাল’ ও ‘ধানশালিকের দেশ’ নামে ছয়টি নিয়মিত প্রকাশনা রয়েছে তাদের। চারটি বিভাগের মাধ্যমে বাংলা একাডেমি বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করছে। সেগুলো হলো গবেষণা, সংকলন ও ফোকলোর বিভাগ; ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ; পাঠ্যপুস্তক বিভাগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক, পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ।
বাংলা একাডেমির আয়োজনে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। সেই সঙ্গে দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, যা দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া এখান থেকেই রবীন্দ্র পুরস্কার, জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার, মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার, মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কার, হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার ও প্রবাসী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
এসবের পাশাপাশি বর্ধমান হাউসে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর, জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর ও লোকঐতিহ্য জাদুঘর পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনালয় নামে একটি গ্যালারিও রয়েছে একাডেমির অধীনে।