ডেস্ক রিপোর্টঃ বিভিন্ন খাত থেকে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশাল নগরীর আছমত আলী খান (একে) ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে তা আত্মসাৎ এবং অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাৎসহ ১০টি অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী দল।
এ ঘটনায় গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষক ও কর্মচারীরা লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করলে ম্যানেজিং কমিটি সভা ডেকে তাকে সাময়িক বরাখাস্ত করে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে স্কুলটির অফিস সহকারী জামাল হোসেন সন্যামত স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো- সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা, বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, ভাড়াটিয়ার দুই মাসের ভাড়া মওকুফ দেখিয়ে এক মাসের ভাড়া আত্মসাৎ, বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের দুই মাসের ভাড়া মওকুফের প্রত্যয়নপত্র প্রদান, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে ৭২ হাজার ৫শ’ টাকা আত্মসাৎ, স্টলের নাম পরিবর্তন উল্লেখ করে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকার ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাত, কমিটির অনুমোদন ছাড়া করোনাকালে প্রধান শিক্ষক ও চার কর্মচারীর গ্র্যাচুয়িটির ১ লাখ ২ হাজার ৯শ’ টাকা গ্রহণ, ঈদগাহ মাঠে জমির বৈধ ভাড়াটিয়া থাকাকালীন দুই ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়কৃত ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাত এবং স্কুলের বিদ্যুৎ নিজ বাসায় ব্যবহার করা।
ওই স্কুলের অফিস সহকারী জামাল হোসেন সন্যামত বলেন, এ বছর ১ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র দেন। তার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোজ হালদার, সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান সিলভী ও মামুন হাওলাদার।
তদন্ত শেষে এ মাসের প্রথম দিকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ১০টি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির সভায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।