বরিশালের ছাদ বাগানীদের অনুপ্রেরণায় উপ-পুলিশ কমিশনার বিএমপি (উত্তর) জনাব খাইরুল আলম ও পুনাক বিএমপি সাধারণ সম্পাদিকা জনাব দিলরুবা আলম (সহধর্মিণী জনাব খাইরুল আলম) এর অভিনব উদ্যোগ।
জাকারিয়া মাহমুদ প্রিন্স,বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরাবরের মতো ১৯ ডিসেম্বর’২০ পুলিশ সুপার সংলগ্ন বাসভবন বরিশাল থেকে, বরিশালের ছাদ বাগানীদের কাছে তাঁর নিজ ছাদের ভিয়েতনামি জাতের ড্রাগন চারা ও আখের চারা বিতরণ করেছেন।
প্রায় ৪০ জন ছাদ বাগানী এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন।
অনেকেই এমন বিতরণ কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব খাইরুল আলম এর ২২০০ স্কয়ার ফিটের ছাদ বাগানে প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল ও প্রায় ৪০ প্রজাতির বিভিন্ন ফুল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫ জাতের আনার,আংগুর,কমলা,আম,সফেদা,পেয়ারা,বড়ই ,ড্রাগন,আঁখ ইত্যাদি।
করোনা কালীন লকডাউন পরিস্থিতিতে ছাদ বাগান থেকে নিজেদের চাহিদার বেশীরভাগ শাক-সবজির চাহিদা মিটিয়ে অন্যদেরও তা বিতরণ করে বেশ আলোচিত হন তাঁরা।
মিসেস খাইরুল আলম, শৈশব থেকেই বাবার বাড়িতে সখের বসে গাছ লাগাতেন । গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করে তিনি আনন্দ পান। জনাব খাইরুল আলম এই কাজে উৎসাহ দেন এবং তাঁর সাথে গাছের পরিচর্যা করে তাকে সহযোগীতা করায় তারা যৌথভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, ঔষধি ও সবজির বাগান গড়ে তুলতে পেরেছেন।ছাদ কৃষিতে সফল দম্পতি উর্বরা সোনার মাটি কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকের যেখানে সম্ভব সেখানেই কৃষি গড়ে তোলার পরামর্শ দেন ।
মালিকের অনুমতি নিয়েই তিনি চতুর্থ চলার ছাদে কৃষি গড়ে তুলেছেন।
বাড়ির মালিক বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, তার স্ত্রী সন্তান কেউ দেশে থাকে না। তার বাড়ি এক প্রকার খালী ছিলো। সেখানে ডিসি খাইরুল দম্পতি নিজেদের মতো করে তার বাড়িতে থাকছেন। তিনি তাদের ভাড়াটিয়া মনে করেন না। তিনি নিজে যেখানে ছাদে কৃষি করতে পারেননি, সেখানে তারা কয়েক বছরের জন্য এসে তার ছাদে কৃষি করায় তিনি গর্বিত।
পরিত্যক্ত আঙিনায় সবুজ নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে শরীর ও মন সতেজ রাখার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ উপহার দেয়া সম্ভব মর্মে জনাব খাইরুল আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছাদ বাগানীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, “সবুজ কৃষি বরিশাল” এর এডমিন প্রকৌশলী জনাব বরকত হাসান, ডাঃ মইনুল ইসলাম হাসিব (এ্যাসিস্টান্ট প্রফেসর) শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল, কৃষিবিদ আব্দুর রকিব সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।