আল আমিন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
উত্তরের প্রবেশদ্বার হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের দাপট। নিত্যদিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে এই অঞ্চলের শীতের তীব্রতা।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ দিকে, তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে করোনা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে তাদের শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গরম কাপড়ের অভাবে স্টেশন, ফুটপাত ছাড়াও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ এতে বেড়েই চলেছে। শীতে তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এ দিকে বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
তবে ২ জানুয়ারী দিনে রোদ থাকায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে।
অন্যদিকে শীতে বোরো বীজতলা, আলু, সবজিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। শীতের কারণে জেলার ফুটপাত ও হকার্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আরও দুই-একদিন এইরকম ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়বে আবারও কমবে। এখানে জানুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।