কবি মোঃ সাইফুল ইসলাম শামীম(কৃষিবিদ)
পূর্ব বাংলার মাটিতে সতেরই মার্চ উনিশ শত বিশ সালে,
গোপালগন্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মে ছিল ডানপিঠে এক ছেলে।
মা সায়েরা খাতুন,বাবা শেখ লুৎফর রহমান,
নাম রাখলেন ছেলেটির শেখ মুজিবুর রহমান।
ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় সন্তান,
অপরের কষ্টে ছেলেটির মন করত আনচান।
ছোট থেকেই দেখতেন গরীব দুঃখী কত কষ্টে চলে,
তাদের কাছে গিয়েই শুনতেন তারা কি বলে।
দুঃখীর প্রতি দরদ দেখে ভরে যায় সবার মন,
নিজের ছাতা দিত বন্ধুরে,বিলিয়ে দিত নিজের ধন।
দেখতে দেখতে হয় বড় নিপীড়ন আর নির্যাতন,
পশ্চিমে শাসক শোষণ করে পূর্ব বাংলার জনগন।
মনে দীপ্ত শপথ আঁটে কেমনে করবে রোধ,
দূর্বৃত্ত শাসক গোষ্ঠির প্রতি ভীষণ জাগে ক্রোধ।
বুকের ভেতর জাগে কঠিন ধার, দেখে অন্যায় আর অত্যাচার,
রাজনীতিতে হয় স্বকীয় মুক্ত করতে মানুষ পূর্ব বাংলার।
গনতন্ত্র ,সমাজতন্ত্র ,অর্থনীতিতে আনবে সম অধিকার,
পশ্চিম শাসক গোষ্ঠিরে বজ্রকন্ঠে দিচ্ছে হুংকার ।
ছেষট্রিতে ছয়দফা, ঊনসত্তর এর গনঅভ্যূণ্থন,
সব আন্দোলনে মহানায়ক হল শেখ মুজিবুর রহমান।
ঊনসত্তরে লাখো জনতার ভিড়ে পায় বঙ্গবন্ধু উপাধি,
যিনি সকল আন্দোলনের মহানায়ক,কাটায় পূর্ব বাংলারআঁধারি।
একাত্তরের সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে,
বঙ্গবন্ধু ডাক দিল সব জনতা যেতে হবে আন্দোলনে।
ভাঁঙ্গতে হবে শক্ত দাঁত, করব মোরা স্বাধীন,
মানব না আর কোন বাঁধা,থাকব না পরাধীনতায়।
নেতার ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে যার যা আছে নিয়ে,
কঠিন দীপ্ত সাহস নিয়ে আনল পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা।
একাত্তরেই যুদ্ধ শুরু, একাত্তরেই বিজয়,
এমন জাতি মিলবে কি আর ঘুরে বিশ্বময়৷
পাকহানাদার হটল পিছু, পূর্ব বাংলার দাপটে,
এমন শক্ত জাতি আর বিশ্বে নাহি জোটে৷
কঠিন শক্ত বুদ্ধি কৌশল, তেজী বাঙ্গালীর নেতা,
বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ডাক দিয়েছিল আনতেই হবে স্বাধীনতা।
এক ডাকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব বাংলার জনতা,
নয় মাস যুদ্ধ করে আনল নিজ মাটির স্বাধীনতা।
এমন নেতা মিলবে কি আর বিশ্বময় ঘুরে,
পূর্ব বাংলায় জন্মে ছিল বাংলা মায়ের ঘরে।
নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে সুনাম,
বঙ্গবন্ধুর হাতটি ধরে এলো বাংলাদেশের নাম।