মোঃ ইকরামুল হক রাজিব,ব্যুরো প্রধান,খুলনা: মাসের পর মাস চার দেয়ালে বন্দি থেকে, নির্যাতন নিপিড়ন সহ্য করে, যিনি বাংলাদেশকে এবং আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ভীত তৈরী করে দিয়েছেন, তিনি হলেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে নাম শুধু নাম নয়। একটি ইতিহাস। কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন।
পশ্চিম পাকিস্তানীদের প্রতারনা- শাসনের রোষানল থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন স্বাধীনতার। ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজও আমাদের উদ্বেলিত করে। আর তখনই পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর উপর অগ্নিবৃষ্টি নিক্ষেপ করতে শুরু করলো। জেলের অন্ধকারে নিক্ষেপ করা হলো। ফাঁসি কাষ্ঠে দাঁড় করানো হলো। তবুও তিনি নীতি থেকে একবিন্দু নড়েননি, মাথা নত করেননি।
এই বাংলার মানুষের স্বাধীকারের জন্য তিনি নিজের সুখ- সম্মৃদ্ধি সব বিসর্জন দিয়ে, আজীবন শুধু কষ্টই করে গেলেন। তাঁরই ডাকে মুক্তিকামী বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ল যুদ্ধে। শুরু হলো মুক্তির সংগ্রাম। প্রতিটি রাত আসতো পাহাড় সমান বেদনা নিয়ে। প্রতিটি ভোর হতো কষ্টের স্রোতধারা হয়ে। একটি নয় দুটি নয়, তিনটি নয়, চারটি নয়- নয়টি মাস যুদ্ধ করে, তিরিশ লক্ষের প্রাণের সাঁকো পেরিয়ে, দু লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম মাড়িয়ে আমরা হলাম স্বাধীন। সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক।
বিশ্ব অবাক চোখে তাকিয়ে দেখল- আধুনিক যুদ্ধযন্ত্র ছাড়া শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর একটি ঘোষণায় বিজয় নিশান ছিনিয়ে আনলো বাঙালি! হ্যাঁ তিনিই বঙ্গবন্ধু।
বাংলার মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে যেমনিভাবে পাকিস্তানীরা ঘুমন্ত বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, ঠিক সে রকমই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতের আঁধারে, চিরদিনের মতো স্তব্দ করে দেয়া হলো- মহানায়কের জীবন প্রদীপ। বুলেটে বুলেটে ঝাঁজরা করা হলো তাঁর হৃদয় পিঞ্জিরা।
কিন্তু না! প্রতিটি বাঙালির মনে তিনি যে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছেন- সেই প্রদীপের আলো ছড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, যুগের সেরা নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরই দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ আজ আলোয় আলোয় আলোকিত আমার সোনার বাংলা…বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।