প্রানী থেকে নয় গবেষণাগারেই তৈরি হবে মাংস

৩৯

আহম্মেদ শাকিল,স্টাফ রিপোর্টারঃ শুনতে অবাক হলেও আসলেই মুরগির মাংস তৈরি হচ্ছে গবেষণাগারে।তা বাজারেও চলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রকে স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’–এর গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সিঙ্গাপুর। ‘ইট জাস্ট’ বলছে, বিশ্বে প্রথম পরিষ্কার মাংস হিসেবে নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেল তারা। এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য, প্রাণী কল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে প্রাণীর মাংসের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেনুতে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি।

আজকের বুধবার ইট জাস্ট জানায়, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চ মানের মাংস বিশ্বের প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর। এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল।

ইট জাস্ট বলছে, তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। বিকল্প মাংসের বাজারে তারা সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়াবে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.