রুজি খাতুন,ঝিনেইগাতী,শেরপুরঃ শেরপুর জেলার সীমন্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
এখানকার পাহাড়, টিলা ও সমতল ভূমিতে সবুজের সমারাহ এর মধ্যে শাল, গজারি, সেগুন ও লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে দোলা দিয়ে যায়৷ অপরূপ পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকেই গজনী অবকাশ কেন্দ্রের মনামুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
উপভোগের জন্য ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ভ্রমণপ্রেমী৷ ফলে প্রতিদিন সকালসন্ধ্যা এখানে দেখা যায় আনন্দময় পরিবেশ। এখানে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বনভাজেন হয়ে থাকে। পর্যটকদের সমাগম দেখে স্থানীয়দের মাঝেও প্রফুল্লতা ফুটে উঠেছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়ের বুক জুড়ে নতুনভাবে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ পায়ে হাঁটা পথ। লেকের পাড় ধরে পাহাড় ছুঁয়ে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এভাবে পর্যটকরা যাচ্ছেন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। পড়ন্ত বিকালে
পাহাড়ের লেকে ডিঙি নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। বিভিন্ন জায়গায় বসে কিংবা দাঁড়িয়ে চলছে মোবাইল
ছবি ও সেলফি। পাশাপাশি কফিতে চুমুক দিয়ে আড্ডা
আর গানে মেতে উঠছেন ভ্রমণপিপাসুরা। জানা যায় ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবকাশ কেন্দ্রটি তৈরি হয়।