মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
বিশ্বাস! তাতে ধরেছে মরিচিকা,
ভিতরে জ্বলছে বেদনার অগ্নিশিখা।
যা ছিল হ্নদয়ে অব্যক্ত অস্ফুট লালিত বাণী,
কহিয়াছি তা সংকোচ আর দ্বিধা হেলি।
পশ্চাদ্বাবন করিয়াছি যে মোহে,নীলাদ্রী।
ভূলুণ্ঠিত করিয়াছ তা তুমি,আমারি নির্মল বাণী।
পারিবনা আমি রচিতে গীতি-কাব্য।
রয়ে যাবে দুগ্ধবৎ বহুত সেই সুরৎ অব্যক্ত।
পলক ফেরানো ছিল নিতান্ত দুষ্কর।
বদনে যে ছিল উজ্জ্বল ড্যাফোডিল, নীলাদ্রী।
হ্নদয়ের সাজঘরে সাজিয়েছি রঙ্গমালায়।
করিয়াছো ব্যাপ্ত চরাচর তোমারি প্রভায় প্রদীপ্ত।
নিশীথে করিয়াছো মত্ত আমারি সুতীক্ষ্ণ চিত্ত।
দেখিয়াছি কুসুম-কানন তোমারি বদনেত্ত।
দুঃশাসনে রক্ত চোষে রচিয়াছি উজ্জ্বল বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড।
গড়িয়াছি প্রাসাদ-পুরী কসুর করিয়াছি অমত্র্য।
লাঞ্চিত করিয়াছি দ্রারিদ্র্যক্লিষ্ট লাখো অভুক্ত।
করিয়া বাকরূদ্ধ ব্যক্ত করিয়াছি অসত্য।
নিরীহের ক্রন্দন রোলে করিয়াছি উল্লাস।
দেখিয়েছি অলীক স্বপ্ন আর মিথ্যা আশ্বাস।
নেতৃত্বে আজ ধরেছে জং,করছে লোপাট পাতি সব।
বিলীন হয়েছে ভ্রাতৃব্যবোধ, হয়েছে ধরা অবস্তুতে স্তুপ।
জবর আঁধারে গ্রাস করেছে মনুষ্যত্ব।
সুদীর্ঘ পথ দিতে হবে পারি জুটাতে সেই আদর্শ।
এসেছে অভিসম্পাত সে ধ্বংসের বার্তা।
ক্ষুধার্ত আর উৎপীড়িতের কাছে পৌঁছে দাও মানবতা।
বিরল শিক্ষা দিয়াছো তুমি শতাব্দী অন্তে।
যুগে যুগে করিয়াছো পরিত্রাণ অবশেষে।
শিখিয়েছ তুমি বিশ্বজনীন!
তাই,হ্নদয়ের ফটোফ্রেমে তুমি রহিয়াছো কিংবদন্তী।