মাহমুদুল ইসলাম সোহাগ –
নীলফামারী ডিমলা প্রতিনিধিঃ-
নীলফামারী জেলায় ধর্ষণ ও হত্যার দুইটি আলাদা মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনালের পৃথক দুটি আদালতে এ রায় প্রদান করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় জেলার ডিমলা উপজেলার সাতজান সাইফুন গ্রামের আবদুল গণির মেয়ে মৌসুমী (১৪)। পরদিন সকালে বাড়ির কাছে বুড়িতিস্তা নদীর কাশবন থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা করেন মৌসুমীর বাবা আবদুল গণি।
এরমধ্যে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান ঘাটেরপাড় গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে মোঃ মকবুল হোসেনকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড,ও ঐ গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমানকে (২৮) যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন ওই আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান।মামলার অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অপর একটি ধর্ষণ মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জসর উদ্দীনের ছেলে শ্বশুর আজগার আলীকে যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।