মেহেদী হাসান সজীব, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ শিশু কল্যাণ তহবিলের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট পদত্যাগের পাশাপাশি সরকার ও ভেঙে দেন।
জানা গেছে, নেদারল্যান্ডের হাজার হাজার পরিবার শিশু কল্যাণ তহবিল থেকে পর্যাপ্ত অর্থ না পেয়ে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে বেশি সমস্যায় পড়েছেন অভিবাসী পরিবারগুলো। এর আগে, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট দেশটির রাজার কাছে তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দেন। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের ওই অন্যায়ের শিকার হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার পরিবার। এ ছাড়া ১১ হাজার মানুষের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় তাঁদের সঙ্গে কর কর্মকর্তারা বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। এসব মানুষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে শিশুকল্যাণ সুবিধাসহ অন্যান্য ভাতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই এভাবে পুরো সরকারের পদত্যাগে নেদারল্যান্ডসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, হাজারো অভিভাবকের বিরুদ্ধে শিশু ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল নেদারল্যান্ডসের কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অনেককেই মোটা অঙ্কের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়েছে, যার কারণে অনেক পরিবারই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
বিবিসি জানায়, নেদারল্যান্ডসের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট দেশটির রাজার কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর দ্য হেগ শহরে সাংবাদিকদের বলেন, নিরপরাধ অনেক মানুষকেই অপরাধীর কাতারে ফেলা হয়েছে। তাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দায় মন্ত্রিসভার ওপরই বর্তায়।
তবে আগামী ১৭ মার্চ দেশটির জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মার্ক রুট। নেদারল্যান্ডের সরকারের পদত্যাগের ঘটনা এই নতুন নয়।এর আগেও ২০০২ সালের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির তৎকালীন সরকার পদত্যাগ করেছিল।
তথ্যসূত্রঃ এএফপি, বিবিসি