সঞ্জয় বৈরাগী, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুরে মো. রনি হাওলাদার (২৮) ও মিজানুর রহমান মিঠু (৩২) নামের দুই যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়াসহ মো. ফারুক হাওলাদার (৩৫) নামের আরেক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দলীয় প্রতিপক্ষরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ভীমকাঠী এলাকায়। গুরুতর আহত রনি হাওলাদার ও মিজানুর রহমান মিঠুকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত রনি হাওলাদার উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরের বাসিন্দা মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে ও শ্রীরামাকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। মিজানুর রহমান মিঠু একই এলাকার মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। সে শ্রীরামকাঠী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। আহত মো. ফারুক হওলাদার উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চলিশা গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি।
হামলায় আহত ফারুক হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা তিনজন একটি মোটর সাইকেলে করে দলীয় কাজ সেড়ে নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শ্রীরামকাঠী বন্দরের কাছাকাছি ভীমকাঠীর বালা বাড়ির কাছে পৌঁছলে মোটর সাইকেলের আলোতে দেখতে পান প্রধান সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলা। সেখানে পৌঁছুতেই রাস্তার দু’পাশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান সবুজ ও স্থানীয় মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
থানা পুলিশের একটি সূত্র জানান, হামলাকারী ও আহতরা একই দলীয়। তবে স্থানীয় রাজনীতিক কোন্দলের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইশিতা সাধক নিপু জানান, হামলায় মিজানুর রহমান মিঠুর বাম হাত-পা ও ডান পা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তার মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম রয়েছে। রনির দু’ হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। তার মাথায়ও দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম রয়েছে। তার নাক-মুখেও আঘাত রয়েছে। গুরুতর আহত দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ওসি মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ওই রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।