তোমাকেই বলছি

৬১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

একপশলা বৃষ্টির পর অসীম আকাশ কি দেখেছো কেউ?
রংধনুর সেই সুদৃশ্যে নীলাকাশ কি আজ সেজেছে?
অন্তঃপুরে পুষ্পের ঘ্রাণের মত লুকিয়েও তুমি দেখতে পার আজি,না থাক।
অন্তঃপুরেই থাকো,সেখানেই যে পূত-পবিত্র থাকবে তুমি,
আমার এ আহ্বান তুমি শুনছো কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে! নীলাদ্রী।

ঝড়নার পৃষ্ঠতলে আরশি সদৃশ্যে দেখা দিও না তুমি হে,
ঝরনার কলকল ধ্বনিতে ভ্রমনকারীও মোহিত হয় যে!
তোমার কন্ঠস্বরও মুগ্ধ করতে পারে ওদেরকে!
অবিশুদ্ধ আর অসাধু কেউ চাইতেও পারে তোমাকেই ওদের বুকে পেতে।

এ ধরাতে তোমার মূল্য দিবে না ওরা,
তুমি অন্তঃপুরেই থাকো,
সেখানেই যে থাকবে তুমি পূত-পবিত্র,
আমার এ আহ্বান তুমি শুনছো কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে! নীলাদ্রী।

অপ্রসিদ্ধ এক কবি রচে যান তোমার গুণাবলি,
তুমি থাকো দিগন্তের শেষ প্রান্তে,
থাকো না তুমি স্বপ্নদ্রষ্টার অলক্ষ্যে।
আর কত সময় পেরুলে নিজের মূল্য তুমি নিজে বুঝবে?
আমার এ প্রশ্ন তুমি শুনছো কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে!নীলাদ্রী।

ঘোর আচ্ছন্ন দুর্দিনে এক আলোকরশ্মিরুপে
ভেসে উঠবে যে তুমি,
তুমিই তো হবে এক গৃহে আদর্শ জননী।
তবে মিছে কেন করছো এ দলবাজি?
থাকো না তুমি দ্রষ্টার অলক্ষ্যে।
আমার এ নিবেদন তুমি শুনছো কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে!নীলাদ্রী।

পথে-ঘাটে আজ পিয়ারীদের বসবাস,
ডিঙ্গিয়েছে তারা সভ্য আর,
মার্জিত পর্দা-পুশিদার সেই সংস্কৃতি,
কিন্তু, তুমি যে আমার নীলমনি,বাহুডোরে ধরে রাখবে না কি সেই সংস্কৃতি?
আমার এ আরজি তুৃমি শুনছো কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে!নীলাদ্রী।

দিকে দিকে আজ বাজছে সমৃদ্ধির ডামাডোল,
স্রোতের টানে তুমি দিওনা ভাসিয়ে তোমার তরী,
নীল সায়রে হালভাঙ্গা তরীতে তোমাকে দেখতে আমি নাহি চাই যে।
তুমি থাকো নিরালা-নিভৃতে,গড়ে তুলো সেই দিগ্বিজয়ীকে,
তরীতে যে রাখবে তোমায় আদর্শ পতাকাবাহী রুপে।

চেষ্টায় আমি করিনি ত্রুটি, পাঠিয়ে দিলাম এই বেনামী চিঠি,
আমি বলি আসি,নাকি রহিয়াছি ঋণী!
কালের বার্তা আমি তোমায় দিতে পেরেছি কি?
তোমাকেই বলছি যে ওহে!নীলাদ্রী।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.