জাল সনদে শিক্ষকতা-৬ বছর

৩৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: মোঃ আনসার আলী লালমনিরহাটের জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলায় হাফসা আক্তার নামের এক নারী শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন পর বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ৫ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী তাকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি ইস্যু করেছেন।যার স্মারক নং-জেপ্রশিঅ/লাল/এফ-সামঃ বরঃ/২০২০/১৬৭৩/৮ বিষয়টি হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে-হাফসা আক্তার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মুন্সির ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী।

হাছনা আক্তার তার বড় বোনের দাখিল পাশের সনদপত্রে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে চাকরি নেন।
পরে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়।
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচলনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ মুন্সি বলেন-সে আমার ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সনদ ভুয়া কিনা আমার জানা নেই।’
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন,হাছনা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.