নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক সাহসী কন্ঠ :
৯৯৯ জরুরি সেবা বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত একটি জরুরি কল সেন্টার। এখান থেকে জরুরি পুলিশ, জরুরি ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন ব্যক্তি ৯৯৯ কল করার মাধ্যমে এ সকল জরুরী সেবা গ্রহন করতে পারবেন। সর্বস্তরের নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশ এই কল সেন্টার সেবাটি চালু করে। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে এ কল সেন্টার। ৯৯৯ একটি টোল ফ্রি নাম্বার। এই নাম্বারে কল করার জন্য কলারকে কোন টাকা খরচ করতে হয় না।
শতাধিক জনবল নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে জনবল রয়েছে চার শতাধিক। ৯৯৯ একসঙ্গে ১০০টি কল রেসপন্স করতে পারে। ৯৯৯-এর পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার বলেন, কল পাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট থানাসহ আমাদের সেবা নিশ্চিত করি। করোনাসহ জরুরি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বা তথ্য দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করা হয়। সেবাটি চালুর পর থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৬টি কল এসেছে। কলের বিপরীতে ৭৬ শতাংশ পুলিশি সেবা, ১৩ শতাংশ ফায়ার সার্ভিস সেবা এবং ১১ শতাংশ অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে প্রথমে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে ৯৯৯ নম্বরে জাতীয় হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সেখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলে। এরপর ৯৯৯-এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ। ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর আবদুল গণি রোডে পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মোবাইল ও ল্যান্ডফোন থেকে সম্পূর্ণ টোল-ফ্রি কল করে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এই সেবা নেওয়া যাচ্ছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান, বর্তমানে করোনার বিষয়েই বেশি কল আসছে। বিভিন্ন ধরনের সেবা চেয়ে কল করছেন নাগরিকরা। এর মধ্যে আমাদের সেবা খাত (পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স) ছাড়াও সাধারণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আপনার জরুরি কলের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত কল সেন্টার এজেন্টরা সদা প্রস্তুত, প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ।