সিফাতুল হাসান, উপজেলা প্রতিনিধি, ইসলামপুরঃ ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক কেন্দ্র ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার’ (UDC); ‘জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা’ (Service at Doorsteps), অর্থাৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারি-বেসরকারি তথ্য ও সেবা পৌঁছে দিতেই সরকারের এই মহতী উদ্যোগ।
ইউডিসি থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সহজে ও কম খরচে প্রায় ৬০ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে। প্রতিটি সেবার জন্য গ্রহণযোগ্য হারে সরকার নির্ধারিত ফি রয়েছে, যা থেকে উদ্যোক্তারা মাসে গড়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা উপার্জনেরও সুযোগ পাচ্ছে। যেহেতু প্রতিটি UDC তে সরকারি খরচে (গড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার) কম্পিউটার, প্রিন্টার স্ক্যানার, ইন্টারনেট মডেম, প্রজেক্টের প্রভৃতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। এজন্য উদ্যোক্তাদের বাড়তি খরচ তেমন প্রয়োজন হয় না, তাই জনগণকে সেবা প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায় কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কিন্তু Team Positive Bangladesh (TPB) প্লাটফর্মে প্রায়শই অভিযোগ আসছে, অতিমুনাফার লোভে অধিকাংশ UDC তে সেবার বিনিময়ে বাড়তি অর্থ আদায় করে। অনেক ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান মেম্বাররাও এই অনৈতিক কাজের অংশীদার। যেমন, তথ্য কেন্দ্র থেকে জন্মনিবন্ধন তোলার জন্য নির্ধারিত ফি, বয়স জন্মদিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত = কোন টাকা লাগেনা, বয়স ৪৫ দিন এর পর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত = ২৫ টাকা, আর ৫ বছর এর বেশি হলে ৫০ টাকা।
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার,৫নং নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন এর ডিজিটাল সেন্টারে জন্ম নিবন্ধন তোলার জন্য নূন্যতম ১৫০ টাকা থেকে ২৫০/৩০০ টাকা রাখা হচ্ছে।
এতে করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিবন্ধন তৈরিতে।আর এই অতিরিক্ত টাকা দিতে না পেরে অনেক গরীব মানুষ তার সন্তানের নিবন্ধন করাচ্ছেন না।
আশা করছি, অনতিবিলম্ব ৫নং নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান, সচিব মহোদয় এবং ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই বাড়তি ফি আদায় বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।
সেইসাথে, সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সামনে সেবাসমূহের জন্য নির্ধারিত ফি উল্লেখপূর্বক ডিজিটাল ব্যানার টানানো বাধ্যতামূলক করা হোক, যেন এই ধরনের কোন অসাধু উদ্যোক্তা বাড়তি ফি আদায় কোনভাবেই কাম্য নয়।