মেহেদী হাসান, জেলা প্রধান, জামালপুরঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে অনলাইন এর কল্ল্যানে অনেকে প্রিয়জন কে খুঁজে পেয়েছে, আবার অনেকেই তাদের প্রিয়জনের কাছে ফিরে গিয়েছে।
সেই রকম একজন কে নিয়ে আজকের লিখা। যে ভদ্র মহিলাটির কথা বলছিলাম উনি প্রিয়জন জনের কাছে ফিরে যেতে চান।
গংগাচড়া উপজেলার, মহিপুর গ্রামের সুনামধন্য শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম “দৈনিক সাহসী কন্ঠ” কে জানান ছবিতে প্রদর্শিত মহিলাটি একজন বাক-প্রতিবন্ধী। বিগত ১৫ বছর আগে মহিলাটি রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার আনুর বাজারে পাওয়া যায়। এর পর মহিলাটি যতটুকু ইশারা-ঈঙ্গিতে বুঝাতে সক্ষম হয় যে,ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে এবং ছিনতাইকারী তাঁকে ভুল পথের গাড়ীতে করে রংপুরে পাঠিয়ে দেয়। ইশারা-ঈঙ্গিতে বুঝায় যে,মহিলাটির একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে আছে।
মহিলাটি বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ায়,তাঁর গ্রামের বাড়ি সম্পর্কে কিছু বলতে পারে না। দুঃখের বিষয়, সেই সময়ে কয়েকবার স্থানীয় প্রত্রিকায় খবর প্রচার করে কোন ফল হয় নাই। সেই থেকে আজও মহিলাটি গংগাচড়া উপজেলার মহিপুরে আছে। বিগত ১৫ বছর যাবত মহিলাটি আমাদের গ্রামে (মহিপুর,গংগাচড়া-৫৪১০) আছে। মহিলাটির আচার-আচরণ,ব্যবহারে উচ্চ পরিবারের সদস্যা বলে মনে হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে যে,মহিলাটি অত্যন্ত সৎ,ন্যায়পরায়ণ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী।
আপনজনের কাছে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত বিভিন্নজনের কাছে আকুতি-মিনতি করে আসছে।এই বয়স্ক বাক-প্রতিবন্ধী মহিলাটির কথার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে আমার সামান্য এইটুকু লিখা এই আশাই যে বিগত ১৫ বছর আগে পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মহিলাটি খুঁজে পাবে, ফিরে যাবে তার আপন ঠিকানায়।
যোগাযোগঃ 01767236173,01750021105।মহিপুর,গংগাচড়া,রংপুর-৫৪১০।
ভদ্রমহিলাটি ফিরে পাক তার পরিবার, আপন-জন দের এটাই এলাকাবাসীর কামনা।