সাগর হাসান মুক্তার
প্রায়ই ভাবি তোমাকে একটা চিঠি লিখবো
কিন্তু সময় করে আর লেখা হয় না,
হয়েছে কি জানো?
ইদানিং সবকিছুই আমি কেমন ভুলে বসে থাকি
একটা কাজও সময়মতো করা হয় না।
তাই ভাবলাম আজ চিঠিটা লিখেই ফেলি
হয়তো দেখা যাবে
এটা আর কোনদিন লেখাই হবে না,
এই কাজ সেই কাজ এর নিচে চাপা পড়ে যাবে
চিঠি লেখার ব্যাপারটা এক সময়।
জানো? আজকাল ব্যস্ততা বেড়েছে খুব;
সারাক্ষণ শুধু কাজ আর কাজ
বয়সের সাথে সাথে দায়িত্বটাও তো বাড়ছে,
কপালের চামড়ায় পড়েছে বয়সের সূক্ষ্ণ ভাঁজ।
প্রায় সময়ই ভাবি চাকরিটা ছেড়ে দেবো
রোজ রোজ এই নয়টা-পাঁচটা অফিস
আর ভালো লাগেনা আমার,
তারপরেও বেঁচে থাকতে হয়
এসব ধরা বাঁধা নিয়মে
কারন প্রেমের চেয়ে অর্থের চাহিদা অনেক বেশি
এ জগত সংসারে।
প্রেমিকাকে একটা চিঠি লিখতে গেলে ভালোবাসার চেয়ে আগে দরকার পড়ে কাগজ-কলমের, তাই না?
তাই মানুষ প্রেমিকার জন্যে গোলাপ কেনার আগে দেখে তাঁর রুটি কেনার সামর্থ আছে কিনা?
থাক বাদ দাও ওসব কথা,
এমনিতেই অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা লিখে ফেললাম চিঠি তে,
আসলে কি জানো?
তুমি পাশে থাকলেই আমার প্রচুর কথা বলতে ইচ্ছে করে; এম্নিতে আমি ভীষণ চুপচাপ থাকি প্রতি ক্ষণেতে।
কেমন আছো তুমি? ভালো আছো তো?
মনে পড়ে,তোমার এ ভালো থাকার জন্যই এক জীবনে কখনোই আমি ভালো থাকতে চাই নি,
এ শহর থেকেও শহর ভেসে বেড়িয়েছি বেদুঈনদের মতো;
শুধু তোমাকে ভালো রাখবো বলে, এতটুকু বিশ্রাম নিই নি!
অথচ দেখো আজ কতটা দিন কে কেমন আছি?
তার কোনো খোঁজই কেউ রাখিনা;থাকি বিরহে ডুবে
যেন একই স্রোতে চলমান দুটি ধারা আজ দুটি নদী হয়ে দুদিকে বয়ে গেছে চলে গেছে নিরবে।
তাই বলে ভেবোনা তোমার আমার প্রেম মরে গেছে,
সে চাপা পড়ে আছে আমাদের এই বিধ্বস্ত বুকের গোপন কোন অংশে পরম যতনে,
যতটা যত্নে চাপা থাকে মানুষের হৃদয় ক’খানা হার আর মাংসের নিচে, পাতলা একটু চামড়ার আবরণে।
তোমাকে চিঠি লিখে শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে বারবার, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।
আর এভাবেই ভালবাসতে থাকবো তখনো
যখন বয়স হবে ষাট, সত্তর, আশি…..