ফাহিম আল মামুন,খেলা ডেস্কঃ সকল বাধা পেরিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। শুরুতেই টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ওপেনার সুনীল অ্যমব্রীস এবং ডি সিলভা।
টাইগারদের হয়ে উদ্ভোধনী বোলিং করতে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। শুরুতেই উইকেট তুলে নিলেও বাধা হয়ে যায় বৃষ্টি। পূর্বেই আবহাওয়ার বার্তা জানা ছিলো তাই হয়তো এই শীতে বৃষ্টি অবাক করেনি ততেটা। তবে বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু হলে প্রথম থেকেই ম্যাচের দখল রাখে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিং এ দিশেহারা হয়ে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবির। দলীয় পারফরম্যান্স, দুর্ধর্ষ বোলিং এবং অসাধারন ফিল্ডিং এ পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রন রেখেছিলো টাইগার রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন কাইলে মেয়ার্স। তবুও বড় সংগ্রহ আসেনি স্বাগতিকদের। ৩২ ওভার ২ বল খেলে ১০ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানে থেমে যেতে হয় স্বাগতিকদের৷ বোলিংএ সাকিব আল হাসাম ৭ ওভার ২ বল করে ৮ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর ২ টি এবং হাসান মাহমুদ ৩ করে উইকেট নিয়ে শিবিরে ফেরে টাইগার রা। দলের জন্য প্রয়োজন ১২৩ রান। ১২৩ রানের টারগেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ধীরগতির ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস এর ব্যাটিং অনেক ধীরগতির হয় স্লো পিচের কারনে। তবুও বড় সংগ্রহ আসেনি কারোই। লিটন দাসকে উইন্ডিজ বোলার আকিল হোসেইন সাজঘরে ফেরালে মাঠে নামেন শান্ত। কিন্তু পারলেন না তিনিও। পরে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়েই মাঠের হাল ধরেন তামিম। ধীরগতির ব্যাটিং এও কিছু পরে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল দুজনই৷ পরবর্তিতে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং এ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তামিম ইকবাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর একাই ৩ টি উইকেট নেন আকিল হোসেইন। ৪ টি উইকেট এবং দলীয় ১৯ রান করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। কোভিড ১৯ এর সংকট কাটিয়ে এবার স্বস্তিতে ভাসাতে পারে বাংলাদেশ দলের এই জয়৷
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচঃ সাকিব আল হাসান।
স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১২২/১০ (৩২.২)
বাংলাদেশঃ ১২৫/৪ (৩৩.৫)
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।