মো:রফিক ভুঁইয়া খোকা,ব্যুরো প্রধান,ময়মনসিংহঃ লেখালেখি ও সাংবাদিকতার জীবনে একটা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পর এই প্রথম বিশেষ ভাল লাগা, সম্মানপ্রাপ্তি, মুল্যায়ন ও শক্তিশালী সাংগঠনিক তৎপরতা আর এই পত্রিকার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতনদের বিশেষ আন্তরিকতায় আমি অতিশয় আনন্দিত ও পত্রিকাসহ সকলের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই পত্রিকার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক প্রকৌ:আব্দুল্লা আল মামুন ভাইকে তাঁর এ ধরনের সাহসীকতা ও ব্যতিক্রমধর্মী অতুলনীয় সাংবাদিকতার পথ যাত্রার সূচনা করায়। কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকেও,তাদের এই অভিষ্ট লক্ষ্যের জন্য একজন সহযোগী করায়।
কতটা মহা প্রাণের অধিকারী হলে, বিশেষ করে পত্রিকার জগতে প্রতিনিধিদের কাছে নিজে এসে পরিচিতিপত্র প্রদান করেন। প্রেরণা যোগাতে অভিষেক অনুষ্ঠান। হ্যাঁ তেমনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ও পদক্ষেপ জাতীয় দৈনিক “সাহসী কণ্ঠ” ও পত্রিকার সত্বাধিকারী প্রকৌ: আব্দুল্লা আল মামুন ভাইয়ের পক্ষ থেকে। ময়মনসিংহ বিভাগে এ পত্রিকার অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি পত্রিকা জগতের অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেন যা সত্যিই আমাদের মেধা ও চিন্তাশক্তিকে নতুনভাবে আন্দোলিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ পত্রিকার মালিক, প্রকাশক শিল্পপতি কিংবা ধনীকশ্রেণী। তাদের আছে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। করেন তারা কোটি-কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। পত্রিকা প্রকাশ করেন তারা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে। তাদের কাছ থেকে কী করে যথার্থ সংবাদ বা দেশের সত্য পরিস্থিতি জানা যাবে? প্রকৃত শিক্ষানুরাগী ও প্রকৃত সাংবাদিক তারা তো কেউ আসতে পারছে না বা আসতেছে না এ লাইনে। ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধিই তখন প্রাধান্য থাকায় তাদের মতো মালিক কর্তৃক নিয়োজিত বেতনভুক্ত কিছু সম্পাদক বা সাংবাদিকের পক্ষে সকল অন্যায় ও অধিকার হরণের সংবাদ পরিবেশন করে সরকার ও প্রশাসনের বিরাগভাজন হওয়া সম্ভব নয়। সম্ভব নয় Yellow Journalism – এর গণ্ডি পার হওয়া তাদের পক্ষে।
আর সে কারণেই মূলত আজও পত্রিকা ও সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যহত ও ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে আমাদের দেশে স্বাধীনতা প্রাপ্তির এত বছর পরেও। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা- দীক্ষায় যোগ্য ও সেবার মানসিকতাসম্পন্ন লোকদের এগিয়ে আসা উচিৎ এবং আমাদের সকলের সহযোগিতা থাকা একান্ত জরুরী। ব্যবসায়িদের দ্বারা পত্রিকা পরিচালিত বলেই মেধার বিকাশ, যথার্থ সংবাদ পরিবেশন, প্রকৃত কলম সৈনিক তৈরি করা, মানুষের অধিকারের কথা বলা ইত্যাদি সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে না, সম্ভবও না। তিনি আরো বলেন, আমি বিশিষ্ট কোন ধনকুবের নই। আমি শিক্ষিত, যোগ্য, সাহসী, দেশপ্রেমিক, জাতির কল্যাণকামী সাংবাদিক তৈরির মাধ্যমে সত্য সাংবাদিকতা করার মূল লক্ষ্যেই আমার এ পথে আসা এবং দৈনিক সাহসী কণ্ঠের প্রকাশক, সম্পাদক, মুখপাত্র নিয়ে আমি সেবক( মালিক দাবিদার নই) হয়েও আপনাদের দোরগোড়ায় এসেছি এর সঠিক বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতার জন্য।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নামকরা বিভিন্ন প্রকাশনা ও মিডিয়া জগতের সাথে ও মালিকদের সাথে চলাফেরা ও যোগসাজশের দরুণ পত্রিকা ও মিডিয়াকর্মীদের অনিয়ম ও দুর্গতির কথা ইতিবৃত্তান্ত বলতে পারি। পাশাপাশি মেধাবী ও যথেষ্ট শিক্ষিতশ্রেণী মিডিয়া জগতে না থাকাটাও গণ মাধ্যমের জগতে একটি বড় বাধা বলে তিনি মনে করেন। এহেন পরিস্থিতি থেকে আমাদের যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি উত্তোরণ হওয়া দরকার। তবেই আমরা জাতীয় ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে ভাল কিছু করতে পারব পত্রিকাসহ সকল গণমাধ্যমের দ্বারা। আর আমি আপনাদের এ প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত দিতে পারি, আমি এবং আমাদের দৈনিক সাহসী কণ্ঠ আপনাদের পাশে থাকবে দেশ ও জাতির উপরোক্ত চাহিদা দাবির বাস্তবায়নে এবং এ পত্রিকার সাথে কেবল তারাই থাকতে পারবে যারা এ মতে ও পথে বিশ্বাসী ও আন্তরিক।