মোঃ আরমান হোসেন,ঢাকা উওরঃ কৃষকের মুখে হাসি সারা দেশের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাংলার হেমনতি কৃষকরা এক বুক স্বপ্ন নিয়ে সোনালী ধান রোপণ করেন। কৃষকের প্রাণের ভালোবাসা একটাই প্রত্যাশা, সোনালী ফসল পাবে তারা। সোনালি ফসলে হাসিমুখে ভুলে যায় তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। সারা দেশের এবারের বোরো মৌসুমে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। বোরোর জমি এবার কৃষকের খামার ভরা ধান দিয়েছে। অর্থাৎ এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে। তবে নতুন ধানে দাম কিছুটা কম রয়েছে। তাই ধানের দাম বাড়ানোর ফরিয়াদ জানিয়েছেন কৃষক।
এই সময়ে দেশে বোরোর বাম্পার ফলনকে দেশের জন্য সুখবর বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এই দুঃসময়ে বোরোর বাম্পার ফলন নিঃসন্দেহে দেশের জন্য ভালো খবর। কারণ করোনার কারণে মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে প্রায় দুই লক্ষ কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়ে গেছে। কিন্তু বোরোর ফলন ভালো হওয়ায় একটা জায়গায় দেশের মানুষের স্বস্তি থাকবে যে, আর কিছু ভাগ্যে জুটুক বা না জুটুক তিন বেলা দু’মুঠো ভাত তো জুটবে। তবে কৃষক যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকে সরকারকে ভালোভাবে নজরে রাখতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুসারে চলতি বোরো মৌসুমে দেশে মোট ৪৮ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯ লাখ হেক্টরে হাইব্রিড, ৩৮ লাখ ২০ হাজার হেক্টরে উফশী ও ২৯ হাজার হেক্টরে স্থানীয় জাতের বোরো আবাদ করা হয়। অন্যদিকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় হেক্টরপ্রতি গড়ে ৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন করে মোট দুই কোটি লাখ টন। পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায়, আগের কমপক্ষে তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী আরও জানা যায়, এবার হাওরের ৭ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে।এর মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েগেছে।
ধানের ফলনে এবার সারা দেশে কৃষকের মুখে হাসি। কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, ধানের দাম কমে গেলেও এখনও তা অন্য বছরের চেয়ে বেশি রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, প্রণোদনার আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৩টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প সময়ে ধান কেটে কৃষক ঘরে তুলতে পারবেন। আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধানের দাম আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হবে, কৃষকের খরচ উঠবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা সুটিয়া গ্রামে বিভিন্ন জাতের ধান কাটার কাজ চলতেছে মিনি ,আউশ বাসমতি, লাল স্বর্ণ ইত্যাদি এই অঞ্চলে 100 হেক্টর ওপরে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। কয়েক জন চাষাবিদ মোঃ হাসান আলী ও মোঃ রমজান মিয়া দুজন ব্যক্তি কাছে চাষের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলে কৃষকের ঘাম ঝরানো শ্রমের বিনিময়ে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে পরিবার পরিজনদের সাথে আনন্দে ও স্বস্তিতে থাকবেন এমনটাই কৃষকদের আশা। অর্থনীতি পরিসংখ্যানে, খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ। খাদ্যশস্য উৎপাদনের গড় উৎপাদন কে পেছনে ফেলে দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত করার জন্য, প্রধান সহায়ক কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে প্রয়োজন অল্প জমিতে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন ও কৃষির সমস্যা সমাধান এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। জাতীয় খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আক্রান্ত ফসলি জমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সমস্যা শনাক্তকরণে ব্যবস্থা নিলে কৃষকগন উপকৃত হবেন। বীজতলা তৈরি, চারা তৈরির যন্ত্র, সেচ,সার প্রয়োগ এবং রোগবালাই দমন সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি উদ্যোগে গ্রাম ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে কৃষকদের সচেতন করা গেলে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে পারে কৃষকরা।
সবাইকে আন্তরিক ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানায়
ধন্যবাদ ভাই
অভিনন্দন জানায় ভাই
ধন্যবাদ