ফারুক হোসাইন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মুজিব শতবর্ষে দেশের সবচেয়ে দারিদ্র তম জেলা কুড়িগ্রামে জমিসহ ঘর পেলেন ১ হাজার ৫শ ৪৯ ভুমি ও গৃহহীন পরিবার। ঘর পেয়েছেন রানা প্লাজায় নিহত রুবিনার পরিবারও। যুগের পর যুগ সরকারী খাস জমি ও অন্যের জায়গায় বসবাস করা পরিবারগুলো প্রধানন্ত্রীর এ উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন। যারা জীবনেও নিজের জমি ও আধাপাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন দেখেননি কখনও তারা এখন এসবের মালিক।
প্রতিবছর কুড়িগ্রামে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব হয়ে পড়ছেন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার পরিবার। বসতভিটা ও ঘর হারানো এসব পরিবারের ঠাঁই হয়েছিল বাঁধ, সরকারী খাস জমি ও অন্যের ভিটার ঝুপড়ী ঘরে। এভাবেই বছরের পর বছর রোদ, বৃষ্টি ও শীত কষ্টে জীবন কাটছিল তাদের। হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাকা ঘর ও জমির মালিক হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার থেকে বাদ যাননি রানা প্লাজায় নিহত কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম নারী রুবিনার অসহায় পরিবারও।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের রানা প্লাজা ধ্বসে নিহত রুবিনা ছেলে হৃদয় জানায়, আমি ছোট থাকতে আমার মা রানা প্লাজায় নিহত হয়েছে। আমার বাবা অন্যত্র বিয়ে করে সেখানে সংসার করছে। আমি আমার নানীর কাছে বড় হয়েছি। আমার এক বড় বোন ছিল তাকেও নানী বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কোন জায়গা জমি নেই। প্রধান মন্ত্রী জমিসহ আমাদের ঘর দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।